কলকাতা: এমন অনেক লোক আছে, যারা বিভিন্ন পার্টিতে ঘুরে বেড়ায়, ফটো তুলে বেড়ায়। তাঁরা কোনও সামাজিক অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে ধৃত বিজেপি নেত্রী নাজিয়া ইলাহি খান প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের সাফাই, ‘তিনি বিজেপিতে এসেছিলেন একসময়, অনেক লোক এসেছে ভিড়ের মধ্যে। অনেকেই চলে গিয়েছেন। আমি একবছর ধরে ওনাকে পার্টিতে দেখিনি।’ ২০১৮ সালের পর থেকে একাধিক নির্বাচনে বিজেপির ‘মাইনোরিটি মুখ’ হিসাবে রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে নাজিয়াকে। কিন্তু প্রতারণা কাণ্ডে গ্রেফতার হতেই তার দায় কার্যত ঝেড়ে ফেলল গেরুয়া শিবির। দিলীপ ঘোষের কথাতে তা পরিষ্কার।
নাজিয়াকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার চিন্তাভাবনা করেছিল বঙ্গ বিজেপি। এমনকি দুদিন আগেও বিজেপি মজদুর সেলের ত্রিপুরার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নাজিয়া। নাজিয়া ইলাহি খান বিজেপির আইনজীবী সেলের সঙ্গে যুক্ত। সূত্রের খবর, নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিতেন তিনি। এর পর তিনি নিজের হোয়াটসঅ্যাপে একটি স্টেটাস দিয়ে দাবি করেন, ভারতীয় রেল বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাকে। এই পরিচয়েও অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: প্রতারণা মামলায় ধৃত নাজিয়া’কে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করতে চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি!
নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিলেও নাজিয়া আইনজীবী নন, এমনটাই দাবি করেন আইনজীবীরা। ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও দায়ের করা হয় আইনজীবীদের তরফ থেকে। গিরীশ পার্ক থানা ছাড়াও বিভিন্ন থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। এরপর পুলিশ ওই নেত্রীকে থানায় ডাকে। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগ ওঠে।
বিজেপি মজদুর সেলের সদস্য অভিযুক্ত নাজিয়া এলাহি খানের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা ছাড়াও অভিযোগ দায়ের করেন সন্দীপ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, দাম্পত্য মামলা মেটানোর জন্য তিনি ৬ লক্ষ টাকা দেন নাজিয়াকে। অথচ দাম্পত্যের সমস্যা মেটেনি। তখন ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর তিনি থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত।
আরও পড়ুন: আইনজীবী পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী