পানাজি: মাসখানেক আগে দিল্লিতে রাহুল-সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর হাসিমুখেই বেরোতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তার পর থেকে সময় যতই গড়িয়েছে, তৃণমূল এবং কংগ্রেসের দূরত্ব ততই বেড়েছে। কখনও দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল। আবার কখনও স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একহাত নিয়েছেন কংগ্রেসকে।
আজ, শুক্রবার গোয়া সফর থেকেও কংগ্রেস নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করলেন মমতা। স্পষ্ট করে দিলেন, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের গড়িমসি কোনওভাবেই সহ্য করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বলেন, কংগ্রেস সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ওরা ৭ বছর ধরে হারছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে জিতছি।
আরও পড়ুন: গো ধরে বসে থাকলে চলবে না, নিজের ওজন বুঝে চলতে হবে কংগ্রেসকে
উত্তরবঙ্গ সফর থেকেও কংগ্রেসকে তোপ দেগেছিলেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস অনেক সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু বিজেপি বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে ব্যর্থ।’ জাতীয় স্তরে মোদি বিরোধী শক্তি হয়ে উঠতে মরিয়া তৃণমূল। বাংলা ছাড়াও অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, গোয়ায় সংগঠন গড়ে তুলছে জোড়াফুল শিবির।
দিল্লিতে রাহুল-সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা (ফাইল ছবি)
অসমের শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সুস্মিতা দেব থেকে শুরু করে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও- কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের দলে নিয়েছে তৃণমূল। বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেসের কর্মীরাও তৃণমূলে ভিড়ছেন। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও কিছুটা অসন্তুষ্ট কংগ্রেস শিবির। ফলে যত দিন যাচ্ছে দু’দলের ঠান্ডা লড়াই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে কী করে হারাতে হয় দেখিয়েছে তৃণমূল, কংগ্রেসকে আক্রমণ ‘জাগোবাংলা’য়
২০১৭ সালের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ১৭টি আসন পেয়েছিল তারা। বিজেপি ১৩টি আসন পেয়েছিল। পরে কংগ্রেসের বিধায়কদের ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির ২৭, কংগ্রেসের ৫ বিধায়ক। এই বিষয়টি নিয়েও মমতা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দলীয় মুখপত্র জাগোবাংলাতেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তৃণমূল। লেখা হয়, ‘আমাদের নেত্রী বলেছিলেন জোটের কাঠামো হোক, স্টিয়ারিং কমিটি হোক, নীতি বা কর্মসূচির লাইন তৈরি হোক। কোথায় কী! কংগ্রেস টুইটেই সীমাবদ্ধ। ২০১৪, ২০১৯-এর লোকসভায় কংগ্রেস ডুবেছে এবং ডুবিয়েছে। আমরা কি আবার ওদের জন্য বসে থাকব?’
আরও পড়ুন: প্রায় দু’বছর পর খুলছে স্কুল, ১৬ নভেম্বর থেকে সপ্তাহে ৬ দিনই ক্লাস