আসানসোল: ‘বাবুলের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত, আগেও ওঁকে শ্রদ্ধা করতাম, এখনও করি।’ বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার পর এ কথা বলেছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বাবুলকে কড়া আক্রমণের পথে হাঁটলেন জিতেন্দ্র।
বাবুলের গানের সূত্র উল্লেখ করে টুইটারে তিনি লিখেছেন, পূর্ব থেকে পশ্চিমে গেলে “গদ্দার”, পশ্চিম থেকে পূর্বে এলে “কহো না পয়্যার”। এখানে পূর্ব-পশ্চিম বলতে যে তৃণমূল এবং বিজেপিকে বুঝিয়েছেন তিনি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বাবুলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে নিজেই ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক। জিতেন্দ্রকে লক্ষ্য করে ধেয়ে এসেছে একের পর এক কটাক্ষ।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে পড়ে পথে বসে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
কেউ লিখেছেন, শোনা যাচ্ছে আপনি ও নাকি দলবদল করবেন পুনরায় আবার তৃণমূলে আসবেন জল্পনা এটা কি সত্যি। বেইমান বলে কটাক্ষ করে একজন লিখেছেন, ধ্যাৎ, একে আর কেউ নেবেনা, বেঈমাণ কোথাকারের। একজনের প্রশ্ন, আপনি কি নিজেকে বাবুল সুপ্রিয়’র সমকক্ষ ভাবছেন নাকি। আরেক ব্যক্তির কটাক্ষ, দাদা আরেকবার একটু কুস্তি হবে নাকি বাবুল এর সঙ্গে। একজন লিখেছেন, যাক ! নিজেকে গদ্দার ভেবেছেন এটাই অনেক !
আরও পড়ুন: ‘সবে তো শুরু’, বাবুলের তৃণমূলে যোগ নিয়ে মন্তব্য অভিষেকের
এক কদম এগিয়ে একজন লিখেছেন, উত্তর থেকে দক্ষিণে গেলেও বাবুল আপনার বিরোধী। আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে এলেও আপনার বিরোধী। ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো! আপনার বিরোধী হয়েই উনি ছিলেন, আছেন, এবং থাকবেন। সাহস থাকলে দলকে বলুন আপনি আসানসোলে দাঁড়াবেন। সায়নী এবার আপনাকে গোহারা হারাবে। ইঙ্গিত সেটাই। আরেকজনের উক্তি, এখন শুধু একটাই চিন্তা, আমি ওখান থেকে এখানে বাবুল এখান থেকে ওখানে, এবার আমি ফেরত যাবো কি করে ।
এরই মধ্যে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বিজেপির সমস্ত পোস্ট, নরেন্দ্র মোদির ছবি মুছে দিয়েছেন জিতেন্দ্র। বাবুলের পথে হেঁটে ঘাসফুল শিবিরে জিতেন্দ্র ফেরেন কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। মার্চে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। বিধানসভা ভোটে পাণ্ডবেশ্বর থেকে লড়াইও করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের টিকিটে। তবে জিততে পারেননি।
আরও পড়ুন: ‘গান্ধীকেই ছাড়িনি, তুমি কে হে?’ বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি, গ্রেফতার হিন্দু মহাসভার নেতা