কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ তৃণমূলের। দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটে একহাত নেন কেন্দ্রকে। এই সিদ্ধান্ত আরও অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল, এমনটাই বক্তব্য ঘাসফুল শিবিরের। টুইটে ডেরেক লিখেছেন, ‘গোদি মিডিয়া গত দু’মাসে এই নিয়ে কোনও খবর দেখায়নি। গমের সংকট বাস্তব। ভারত গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। আমি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য সাংসদরা বহুদিন থেকেই এ নিয়ে সরব হচ্ছিলাম। নির্বোধ সরকার!’
আটার দাম নিয়ন্ত্রণে গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। শুক্রবার গভীর রাতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এই সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। গত বছরের তুলনায় এবার আটার দাম প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। ফলে রুটি-সবজি খেতেও মধ্যবিত্তের কালঘাম ছুটেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে আমজনতাকে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পিটিআই সূত্রে খবর, শনিবার থেকেই গম রফতানি বন্ধ করা হচ্ছে।
রফতানি নিষিদ্ধ করা হলেও তবে অন্য কোনও দেশের খাদ্যের প্রয়োজনে ভারত সরকার রফতানিতে অনুমতি দেবে। আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানিতে শীর্ষ রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গমের আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশ গম পেতে ভারতের দিকে ঝুঁকছিল। সেই কারণেই দেশে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছিল। ফলে বাড়ছিল আটার দাম। বাজারে আটার গড় দাম কেজি প্রতি ৩২.৯১ টাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: Kashmir Pandits protest: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, প্রশাসনিক কর্তাদের ভবন ঘেরাও
যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। ২০২১-এর মে মাসে প্রতি কেজি আটার দাম ছিল ২৯.১৪ টাকা। মার্চের তাপপ্রবাহের কারণে চলতি মরশুমে ভারতে গমের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আটা/গমের দাম বাড়ার পিছনে এটাও অন্যতম কারণ। এই পরিস্থিতিতে গম রফতানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আপাতত দেশের চাহিদা মেটানোই মূল লক্ষ্য হতে চলেছে মোদি সরকারের।