ভোটপর্ব মিটলেও বঙ্গে দলবদল অব্যাহত। এবার সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রীতিকণা বিশ্বাস।
বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যর পরাজয়ের পর থেকেই শিলিগুড়িতে সিপিএম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। যদিও দলবলের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বাম নেতৃত্ব। এর আগে ১২ মে দুই বাম কাউন্সিলর তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নেট সমস্যা, নজির গড়ল পড়ুয়ারা
বুধবার তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার ও প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন প্রীতিকণাদেবী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতেই দলে যোগ দিলাম। তাঁর কথায়, বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে রুখতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলবদলের এই সিদ্ধান্ত।
গৌতম দেব বলেন, ‘প্রীতিকণাদেবী দীর্ঘদিন রাজনীতি করছেন। তিনি আমাদের দলে আসায় আমরা আরও শক্তিশালী হলাম।’ প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে ভবিষ্যতে আরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দেবেন। এদিকে সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের বক্তব্য, এই দলবদলে সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়বে না।
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতেই খুলল শপিংমল
সূত্রের খবর, শীঘ্রই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ আরও এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। এর আগে ১২ মে শিলিগুড়ির দুই প্রথম সারির বাম নেতা যোগ দেন তৃণমূলে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের বিদায়ী বাম কাউন্সিলার কমল আগরওয়াল ও প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। রামভজন মাহাতো সেদিন জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজে অনুপ্রাণিত হয়েই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে, কমল আগরওয়াল বলেন, বাংলার মানুষ কী চান তা এবারের নির্বাচনেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। শহরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করার লক্ষ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম। কয়েকমাস আগে অবধিও ‘লালদুর্গ’ বলে পরিচিত ছিল শিলিগুড়ি। ২০১৬-তে তৃণমূলের বিপুল হাওয়াতেও শিলিগুড়ি আসন থেকে জেতেন সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে এবার গ্রিন ফাঙ্গাসের হানা
তবে ২০২১-এর ভোটের আগে তাঁর ডানহাত বলে পরিচিত সিপিএমের যুব নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শংকর ঘোষ বিজেপিতে নাম লেখান। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীও হন তিনি। শুধু তাই নয় এবারের নির্বাচনে গুরু অশোক ভট্টাচার্য ও তৃণমূলের ওমপ্রকাশ মিশ্রকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন শংকর। তারপর থেকেই শিলিগুড়িতে বামফন্টে ভাঙন অব্যাহত।