কলকাতা: তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী ভোট নিজেদের দিকে টানতে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতায় করেছিল সিপিএম। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যত বুমেরাং হয়ে ফিরেছে। বাম-কংগ্রেসের ভাগ্যে একটি আসনও জোটেনি। আইএসএফ একটি আসন পেয়ে মুখরক্ষা করলেও রাজ্যের বহু আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: ‘চোর পালানো’র পরেও ‘বুদ্ধি বাড়েনি’ সিপিএম-এর
নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল, সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যত কী? ইতিমধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকির দল বেশ কয়েকবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) মোর্চা ছেড়ে বেরিয়ে আসার হুমকি দিয়েছে। কংগ্রেসের অবস্থানও স্পষ্ট করেনি বিধান ভবন। সাড়ে তিন দশক ক্ষমতায় থাকার সত্ত্বেও মাত্র ১০ বছরের কেন দল শূন্যে পৌঁছল, তার ময়নাতদন্ত চলছে সিপিএমের অন্দরে।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও সিদ্ধান্ত আসতে পারেনি দল, এমনটাই খবর সূত্রের। তবে আসন্ন উপনির্বাচন পর্যন্ত সংযুক্ত মোর্চার ব্যানারেই লড়বে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ। পুরোনো ফর্মুলা মেনেই ৭টি আসনে প্রার্থী দেবে তারা। তবে তারপর মোর্চার ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে সংশয় অব্যাহত। এই জোট কোনও ‘স্থায়ী সমাধান’ হতে পারে না, এমনটাই মত সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে চায় না বাংলা, ভোটে শূন্য বাম, মানল সিপিএম
জোটে আইএসএফকে সামিল করাও নির্বাচনে ভরাডুবির অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সিপিএমের বক্তব্য, আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর ভাবমূর্তি দলে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। আইএসএফ নিজেদের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলে দাবি করলেও বাংলার সাধারণ ভোটারদের কাছে আব্বাসের দল ‘মুসলিম সংগঠন’ হিসেবে পরিচিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।