আগরতলা: ত্রিপুরা পুলিসের (Tripura Violence) ‘খয়রাতির’র পথসভা গ্রহণ করেননি৷ বরং, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিস-প্রশাসন ও রাজ্যের শাসকদল বিজেপিকে এক হাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee Tripura)৷ ত্রিপুরার হিংসা নিয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের (Tripura Political Violence) নির্দেশের পরে ত্রিপুরায় হিংসা বাড়িয়েছে বিপ্লব দেবের সরকার (Biplab Kumar Dev)৷ এই সরকার আপার কোর্ট, লোয়ার কোর্ট কোনও- কোনও কিছুই মানে না৷ তাই আমরা শীর্ষ আদালতে আদালত অবমাননার মামলা ফাইল করেছি৷ আগামিকাল মঙ্গলবার তার শুনানি আছে৷’
অভিষেক আরও অভিযোগ, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর লাগাতার হামলার বিরুদ্ধে একশোর বেশি এফআইআর করেছি৷ কিন্ত, গ্রেফতার করা তো দূর, কাউকে ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেনি ত্রিপুরা পুলিস৷ বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল৷ ত্রিপুরার সার্বিক পরিস্থিতি ভয়াবহ৷ যে বিজেপি কথায় কথায় অন্যের ভুল ধরে, তারাই এ রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে৷ দিনের আলোয় পুলিসের সামনে থানা চত্বরে মারধর করা হচ্ছে৷ পুলিস নীরব দর্শক!’
তৃণমূল কর্মীদের মারতে ত্রিপুরার হাসপাতালেও গুণ্ডা ঢুকে যাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন৷ অভিষেকের কথায়, ‘বিপ্লববাবু এতটাই নির্লজ্জ যে পাড়ায় পাড়ায় হেলমেট বাহিনী, বাইক বাহিনী পাঠাচ্ছে৷ মা-বোনের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ করা হচ্ছে৷’ পুলিস-প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদেরই বিরোধীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে৷’
আরও পড়ুন-টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ সল্টলেকে
সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের (Sayoni Ghosh Arrest) প্রতিবাদও করেন৷ রবিবারই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় যুব তৃণমূল নেত্রীকে৷ গাড়ির মধ্য থেকে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়৷ সেই প্রসঙ্গেই অভিষেক বলেন, ‘খেলা হবে’ (Khela Hobe) বলা অপরাধ হলে, আগে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করা উচিত৷ সেই তালিকায় নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিতা শাহেরাও (Amit Shah) থাকবেন৷ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন কম্যান্ডের কথায়, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় এসে খেলা হবে বলে মানুষকে উস্কানি দিয়েছেন৷ কিন্তু, বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সৌজন্যতা দেখিয়ে কাউকেই কিছু বলেননি৷ বিপ্লব দেবের উদ্দেশে বলেন, ‘ রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখানো যদি দুর্বলতা ভাবেন, তা হলে ভুল হবে৷’