মেদিনীপুর: তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগদান করেও ৩ দিনের মাথায় ফায়ার গেল নিজেদের সমাজ আন্দোলনের ছাতার তলে। বাগমুণ্ডি ব্লকের সুইসা-তুনতুরী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ওই ব্লকের নির্দল প্রার্থী জয়প্রকাশ মাহাতো গত শনিবার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় শোরগোল। এলাকাজুড়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। এই পঞ্চায়েতের মোট আসন ২১টি, তারমধ্যে তৃনমূল কংগ্রেস ১১, বিজেপি ৫, নির্দল ২,(আদিবাসী কুড়মি সমাজ) কংগ্রেস ১, সিপিআইএম ২ গত শনিবার নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে ১জন জয়প্রকাশ মাহাতো তৃণমূলে যোগদান করে। আজ সেই নির্দল জয়ী প্রার্থী নিজের পুরনো সমাজ আন্দোলনে ফিরে আসে। ফল্ট বলা যায় শাসক দলের ভাবমূর্তি খানিকটা ক্ষুণ্ন হল। যদিও এ নিয়ে জয়প্রকাশ মাহাতো বলেন, তিনি ভুল বুঝে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলেন। কেউ কোনও জোর দেননি বা চাপ সৃষ্টি করেনি।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন এই সব পাহাড় গ্রামে, হবে না পকেটের চিন্তা
আদিবাসী কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে শাসকদল চাপ দিয়ে দলে যোগদান করানোর অভিযোগ করেন। পাশাপাশি জয়ী সমাজের প্রার্থীদের বলেন আপনাদের সমাজের লোক ভোট দিয়েছে, সমাজের উন্নতি করার জন্য, রাস্তার টাকা খাওয়ার জন্য আপনাদেরকে জয়ী করেনি। বোর্ড গঠনের জন্য সমর্থনের প্রয়োজন হলে সমর্থন করা যেতে পারে। কিন্তু দলের পতাকা ধরিয়ে যোগদান করানোটা সমর্থন করেন না।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন কোন জয়ী প্রার্থীকে আমরা চাপ দিয়ে যোগদান করানো হচ্ছে না। নিজেদের স্বইচ্ছায় তারা আমাদের দলে যোগদান করছেন। আদিবাসী কুড়মি সমাজের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।