আগরতলা: মানবাধিকার কমিশনটা বিজেপি (BJP) অধিকার কমিশনে পরিণত হয়েছে৷ মেরুদণ্ড সোজা হলে ত্রিপুরাতেও আসুন৷ যাঁদের মাথা ফেটেছে তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন৷ রাজনৈতিক দলদাসবৃত্তি ছেড়ে এবার ত্রিপুরায় আসুন। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই, জঙ্গলরাজ চলছে। বিজেপির গুন্ডারা হামলা করেছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। সোমবার আগতলায় সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
আরও পড়ুন: অভিষেককে মারতে বিমানেও গুন্ডা তুলে দিচ্ছে বিজেপি, বিস্ফোরক মমতা
ত্রিপুরা কাণ্ডে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকর্মীদের অন্য রুটে ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়েছে এসকর্ট। পুলিশ তাদের ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে মার খাইয়েছে। ষড়যন্ত্র করে মার খাইয়ে ইচ্ছে করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলা হয়েছে, জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। এভাবে তৃণমূলকে দমন করা যাবে না। হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। পুলিশকে অনুরোধ করব নিরপেক্ষ থাকুন৷’
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় হামলা চালানো হয়েছে অমিত শাহের নির্দেশে: মমতা
কুণালবাবুর প্রশ্ন, ‘বাংলায় জে পি নাড্ডা (J P Nadda) বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যে পড়েছিলেন। সেই ঘটনায় তিন আইপিএসকে তলব করা হয়েছিল। ত্রিপুরায় এসে আক্রান্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হামলার মুখে পড়েছেন। সেই ঘটনায় গ্রেফতারি কই? কতজন আইপিএস-কে ডাকা হয়েছে? কেন এখনও একজনকেও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ?
আরও পড়ুন: সংসদের অদূরে ‘মুসলিম বিরোধী’ স্লোগান, এফআইআর করেই দায় সারল শাহি-পুলিশ
তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই ভয় পেয়েই হামলা। বিজেপির গণভিত্তি মজবুত থাকলে ভয় কিসের। এই সরকার আর দেড় বছর। এই হামলার জবাব জনতা নীরবে দেবে ভোটবাক্সে। আপনারা কংগ্রেসকে দেখেছেন, বামফ্রন্টকে দেখেছেন, বিজেপি-কে দেখছেন৷ এবার তৃণমূলকে একটা সুযোগ দিন৷ ত্রিপুরায় জিতবে তৃণমূল, তৃণমূলের নেতৃত্ব বিকল্প সরকার গড়বে।’