আগরতলা: পুরসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরা জুড়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, বিজেপির সন্ত্রাসের জেরে অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ঘিরে রাখারও অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। কেবলমাত্র আগরতলা পুরসভায় নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দেওয়া গিয়েছে জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।
তৃণমূলের অভিযোগ, আগরতলা ছাড়া বাকি সমস্ত পুরসভার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় দখল করে রেখেছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বাইরে লাঠিসোটা হাতে দুষ্কৃতীরাও জমায়েত করে রেখেছে। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের অভিযোগ, রাজ্যপাল কোনওভাবেই দেখা করছেন না। বলা হচ্ছে, তিনি অসুস্থ।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই ত্রিপুরায় অশান্তি, অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দলের
সুবলবাবু বলেন, ত্রিপুরা বাদে বাকি পুরসভায় অধিকাংশ আসনে আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি। আগরতলায় যারা তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে বারংবার জানানো হলেও তিনি দেখা করেননি। দলদাসের কাজ করছেন তিনি। রাজ্যপালের হেলথ বুলেটিনেরও দাবি জানান সুবলবাবু।
একই অভিযোগ ত্রিপুরার সিপিএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন চৌধুরীর। তিনি বলেন, গত ৪৩ মাস ধরে সন্ত্রাস অব্যাহত। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর সন্ত্রাসের মাত্রা আরও বেড়েছে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শুরুর দিন থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ঘিরে রেখেছিল। নির্বাচন কমিশন আমাদের বক্তব্যই শুনতে চায়নি। জেলাশাসক পুলিশকে চিঠি দিলেও কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: শরীরের শেষ রক্ত দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের জন্য লড়ব : অভিষেক
আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরসভা-সহ ত্রিপুরার ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোট। গণনা ২৮ নভেম্বর। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নেওয়ার কাজ চলবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ নভেম্বর। আগরতলার পুরসভার ৫১টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বুধবার আগরতলা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূল প্রার্থীরা। দলের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক এবং রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব উপস্থিত ছিলেন।