আগরতলা: ত্রিপুরায় ধর্মীয় স্থান, দোকান ভাঙচুরের ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। ভাঙচুর হওয়া এলাকা পরিদর্শনের পর এই অভিযোগ তুলল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের একটি দল। এই ঘটনা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করছেন তাঁরা। সেই রিপোর্ট দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। আইনজীবীরা ছাড়াও একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন এলাকায় যায়।
দিন কয়েক আগে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমায় একটি ধর্মীয় স্থান এবং কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। দুটি দোকানে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই অশান্তির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে হাই কোর্ট। ১০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ হিংসার অন্যতম চক্রী গ্রেফতার
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার ৫১টি জায়গায় প্রতিবাদ সংগঠিত হয়। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কয়েক জায়গায় হিংসা শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ছাড়াও অনেক সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মামলা দায়ের করে আগরতলা হাই কোর্ট। হাই কোর্ট বলেছে, হলফনামায় পুলিশি তদন্তের রিপোর্ট, কাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে তাও স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
নিজামুদ্দিন নামে এক স্টেশনারি দোকানদারের অভিযোগ, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল পদযাত্রার আয়োজন করে। এলাকার একটি ধর্মীয় স্থান এবং দোকান পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যে সংখ্যক পুলিশের দরকার ছিল, তার তুলনায় অনেক কম পুলিশকর্মী এলাকায় ছিলেন।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ধারাবাহিক হামলা-হিংসা, আইন-শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের