দেরাদুন : নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টির ফলে বিপর্যস্ত হিমালয়ের পাদদেশ। উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরবঙ্গে এই নিম্নচাপের প্রভাব সব থেকে বেশি। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি, এবং তার সঙ্গে ধস। ফলে পার্বত্য অঞ্চলের জনজীবন বর্তমানে অনেকটাই বিপর্যস্ত। বন্যা ও ধসের ফলে এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নদীর জলও বইছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। চলছে উদ্ধারকাজ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও ৫ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ভূমিধসের কারণে নৈনিতালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। প্রায় ২ দিন বাদে নৈনিতালের ৩টি সড়ক পথ পুনরুদ্ধার করা হয়। হিমাচল প্রদেশে এখনও ২টি জাতীয় সড়ক এবং ১৫টি সড়ক পথ বন্ধ আছে। মালানি থেকে লে’র রাস্তা বন্ধ আছে। উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানান, গত ৩ দিনে প্রায় ৮ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। হরিদ্বারে গঙ্গা বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একটি বাঁধ। অতি বৃষ্টি ও ধসের কারণে আগেই বন্ধ হয়েছিল ৪ ধাম যাত্রা। যে সকল তীর্থযাত্রীরা কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন, আবহাওয়া খারাপ হতে তাঁরা ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ট্রেকিংয়ে গিয়ে খোঁজ নেই বাঁকুড়ার ৭ জন
সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গে ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বুধবার আলিপুরদুয়ারের তোর্সা নদীতে ২টি মেয়ের ভেসে যায়। বিহারের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। সেখানে বেশ কিছু ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধসে গেছে সড়ক পথ। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আবহাওয়া দফতর বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিংপং, জলপাইগুড়ি এবং অলিপুদুয়ারে লাল সতর্কতা জারি করেছে। এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কালিংপংয়ে ৩৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।