লখনউ: ‘বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে এক কানাকড়িও নিইনি৷’ এটা মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে সরকারি কর্মীদের৷ ফরমান উত্তরপ্রদেশ নারী কল্যাণ দফতরের৷ সম্প্রতি দফতর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সব সরকারি কর্মীদের মুচলেকা জমা দিয়ে ঘোষণা করতে হবে যে বিয়ের সময় তাঁরা কোনও যৌতুক নেননি৷
আরও পড়ুন: প্রেম থেকে সহবাস, প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আত্মঘাতী প্রেমিকা
গত ১২ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তিটি জারি হয়েছে৷ তার পর সব দফতর, কমিশনার এবং জেলাশাসকদের কাছে সেটি পাঠানো হয়৷ সরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলক এই মুচলেকা জমা দিতে হবে৷ নইলে পড়তে হবে শাস্তির কোপে৷ ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ই-মেল করে তথ্য জমা দিতে হবে সরকারি কর্মীদের৷
নারী কল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর মনোজ রাই জানিয়েছেন, এই প্রথম দফতর থেকে সরকারি কর্মীদের কাছে ‘নো ডাউরি এফিডেভিট’ চাওয়া হয়েছে৷ এমনিতেই পণ নিরোধক আইন, ১৯৬১ অনুযায়ী দেশের সব সরকারি কর্মীরা মুচলেকা জমা দিতে বাধ্য৷ কিন্তু উত্তরপ্রদেশের নারী কল্যাণ দফতর ২০০৪ সালের ৩১ মার্চের পর বিয়ে করা সরকারি কর্মীদের ওই মুচলেকা জমা দিতে বলেছে৷ বিয়ের সময় তাঁরা কোনও পণ নেননি এটা লিখিত আকারে জমা দিতে হবে৷
আরও পড়ুন: মমতার প্রশংসা করে ফেডারেলিজম ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ উদ্ধবের
সমস্ত মুচলেকা জমার পর সেগুলি খতিয়ে দেখবে নারী কল্যাণ দফতর৷ তার পর দুটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হবে৷ পণ নিয়েছেন এবং পণ নেননি- এমন দুটি আলাদা রিপোর্ট তৈরি হবে৷ যাঁরা পণ নিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে পরে ঠিক হবে৷ ভারতে পণ নেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ৷ দোষ প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷