নয়াদিল্লি: বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) স্পেশাল সেল। দিল্লি, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে ছ’জন জঙ্গিকে গ্রেফতারের দাবি করেছে তারা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ‘সন্ত্রাস দমন শাখা’ (এটিএস)-ও অভিযানে যোগ দিয়েছিল। ধৃত ৬ জঙ্গির মধ্যে দু’জন পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত। পুলিশের দাবি, উৎসবের মরসুমে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল ধৃতরা।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, রাজস্থানের কোটা থেকে এক জঙ্গিকে, উত্তরপ্রদেশ থেকে তিন এবং দিল্লি থেকে দু’জন ধরা হয়। ধৃতরা হল- সমীর, লালা, জিশান কামার, ওসামা, জান মহম্মদ শেখ ও মহম্মদ আবু বকর। এর মধ্যে দিল্লির ওসামা (২২) এবং উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা জিশান কামার (২৮) পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারা পাকিস্তানে গিয়ে বিস্ফোরক তৈরি এবং একে-৪৭-সহ অন্যান্য অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের গুলিতে শহীদ তরুণ কাশ্মীরি পুলিশ অফিসারের শেষকৃত্যে মানুষের ঢল
ধৃতদের কয়েকজনের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দাবি, আসন্ন দশেরা, নবরাত্রি এবং দীপাবলীর সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল তারা। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আধিকারিক নীরজ ঠাকুর মঙ্গলবার বলেন, সকালে রাজস্থানের কোটা থেকে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজন উত্তরপ্রদেশ এটিএসের সাহায্যে সেই রাজ্যে গ্রেফতার হয়। বাকি দু’জনকে দিল্লি থেকেই পাকড়াও করে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে বিপুল পরিমাণ ‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি) উদ্ধার হয়েছে। নানা গোয়েন্দা সংস্থা মারফৎ খবর পেয়ে কয়েক দিন যাবত দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশ জুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশের বিশেষ সেল। তাতেই এল বড় সাফল্য। সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর আমাদের এক্তিয়ারে নয়, জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহযোগিতা না করার আশ্বাস তালিবানের
পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের যে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে দুই জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সেটির সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিসের ‘যোগাযোগ’ রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে দিল্লি পুলিস জানতে পেরেছে, তাদের দলে ১৪ থেকে ১৫ জন বাংলাভাষী রয়েছে। তাদেরও পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ দিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে এত বড় পাক প্রশিক্ষিত জঙ্গি মডিউলের সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।