নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি হিংসা মামলায় শুক্রবার আদালতে দ্বিতীয় চার্জশিট (Lakhimpur kheri chargesheet) পেশ করল বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। লখিমপুর খেরির চাঞ্চল্যকর হিংসার ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ৩ অক্টোবর। অভিযোগ ওঠে, আশিস মিশ্র নিজেই বেপরোয়া ভাবে এসইউভিটি চালাচ্ছিলেন (Lakhimpur kheri case)। তাঁর এসইউভি-র নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় আন্দোলনরত কৃষকদের।
প্রথম চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের। লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভকারী কৃষকদের উপর দিয়ে এসইউভি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মন্ত্রিপুত্র আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে। চার কৃষক ছাড়াও এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে বিজেপি-র দুই কর্মী ছাড়াও আশিসের এসইউভি-র এক চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরু্দ্ধে। হিংসার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দ্বিতীয় চার্জশিটে তাই কয়েক জন কৃষকের নাম রয়েছে।
লখিমপুরের তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত সাত কৃষককে গ্রেফতার করে পুলিস। দ্বিতীয় চার্জশিটে এই সাত কৃষকের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: UP Election 2022: গোরক্ষপুরে যোগীর বিরুদ্ধে প্রার্থী ভীম আর্মির চন্দ্রশেখর আজাদ
লখিমপুরের স্থানীয় বিজেপি নেতা সুমিত জয়সওয়ালের অভিযোগের ভিত্তিতেই লখিমপুর খেরি নিয়ে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের হয়। নির্দিষ্ট ভাবে কারও নামোল্লেখ না করে, কৃষকদের বিরুদ্ধে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন স্থানীয় ওই বিজেপি নেতা।
বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেলফোন ভিডিয়োয় দেখা যায়, কৃষকদের হামলার হাত থেকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছেন সুমিত। একটি এসইউভিতে ছিলেন এই বিজেপি নেতা। লখিমপুর খেরির মামলায় পরে আশিস মিশ্রের সঙ্গেই গ্রেফতার হন সুমিত। আশিস মিশ্রের সঙ্গে আরও ১২ জন এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার্জশিটে খুন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানুয়ারি মাসের শুরুতে লখিমপুর মামলায় স্থানীয় আদালতে বিশেষ তদন্তকারী দল মোট ৫০০০ পাতার চার্জশিট দেয়। ১৪ জনের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে দাবি করা হয়, লখিমপুর খেরির হিংসার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র কিন্তু ঘটনাস্থলেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: UP Assembly Polls: উত্তরপ্রদেশ ভোটে প্রার্থী নির্বাচনে ভার্চুয়াল বৈঠক কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের
প্রথম চার্জশিট দেওয়ার সময় আদালতে তদন্তকারীরা দাবি করেন, পরিকল্পনা মাফিকই চার কৃষক ও সাংবাদিককে খুন করা হয়েছে। লখিমপুরের ঘটনা কোনও দুর্ঘটনা বা গাফিলতির কারণে হয়নি।
লখিমপুরের হিংসায় আশ্রিসের জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফার জোরালো দাবি তোলে কংগ্রেস। অভিযোগ ওঠে, উত্তরপ্রদেশের বিজেপিশাসিত সরকার বাবা-ছেলেকে সুরক্ষা দিচ্ছে।