হজযাত্রার ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আনল সৌদি আরব সরকার। এ বার থেকে সৌদি আরবের মহিলারা কোনও পুরুষ অভিভাবক (মরহম) ছাড়াই হজে যেতে পারবেন। ওই দেশের হজ ও উমরাহ মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ককটেল ভ্যাকসিন! অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর মর্ডানার ডোজ নিলেন অ্যাঞ্জেলা
চলতি বছরের গাইডলাইনে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে বসবাসকারী মহিলাদের হজযাত্রার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পুরুষ অভিভাবক বাধ্যতামূলক নয়। সৌদি আরব সরকারের তরফে জানানো, আগ্রহীরা চাইলে নিজেরাই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। কোনও সঙ্গী বা অভিভাবকের দরকার পড়বে না।
২০১৭ সালে ভারত সরকারও এই নিয়ম চালু করে। মোদি সরকার জানিয়েছিল, পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই মহিলারা হজযাত্রায় যেতে পারবেন। কেন্দ্রের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিল মুসলিম ধর্মের মহিলারা। দশকের পর দশক ধরে চলা পুরোনো নিয়মে শিথিলতা আনার বিষয়টি দেশজুড়ে প্রশংসিতও হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে কাঁপল হাফিজের বাড়ির এলাকা
এই নিয়ম চালু হওয়ার পর প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ১১৭১ জন মহিলার পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই হজযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। ২০১৯-এ সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২২৩০-এ। ২০২০-সালে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে হজযাত্রা স্থগিত হয়ে যায়।
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতাই আসার পর থেকেই মুসলিম মহিলাদের সামাজিক উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী। ২০১৭-এ ২২ অগস্ট বিতর্কিত তিন তালাক আইনও বাতিল করেছিল তারা। ২০১৮-তে হজযাত্রায় ভর্তুকিও তুলে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: টিকা নিলেই টিকিটে ছাড়, দারুণ অফার ইন্ডিগোর
কিন্তু তারপরেও ২০১৯-এ রেকর্ড সংখ্যক মহিলা (প্রায় ২ লক্ষ) হজযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। ভর্তুকি তুলে দেওয়ার ফলে সরকারের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছিল। সেই টাকা মুসলিম মহিলাদের উন্নয়নেই ব্যবহার করা হয়। মূলত মুসলিম কিশোরীদের মধ্যে স্কুল ড্রপআউট কমাতে এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে জানান, মুসলিম মহিলাদের উন্নয়নে গত কয়েক বছরে মোদি সরকার প্রচুর কাজ করেছে। সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ- এই মন্ত্রে বিশ্বাসী।