নয়াদিল্লি: বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী৷ দল ছেড়ে তাঁদের চলে যেতে বললেন তিনি৷ জানান, দল পছন্দ না হলে তাঁরা আরএসএসে চলে যেতে পারেন৷ রাহুলের এমন মন্তব্য নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের৷ তাদের মতে, একাধিক রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বিক্ষুব্ধদের আগাম বার্তা দিয়ে রাখলেন সোনিয়া পুত্র৷ বুঝিয়ে দিলেন তাঁদের কোনও আচরণ আর বরদাস্ত করবে না দল৷
আরও পড়ুন: শুনানির সময় নেটওয়ার্ক সমস্যা, ‘সার্কাস চলছে’ বলে বিরক্তি প্রকাশ বিচারপতির
শুক্রবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করছিলেন রাহুল গান্ধী৷ সেখানেই ওই মন্তব্যটি করেন তিনি৷ জানান, নির্ভীক নেতাদের কংগ্রেসে জায়গা দিতে হবে৷ আর ভীতদের দল থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের বাইরে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা নির্ভীক৷ আমাদের উচিত তাঁদের টেনে নিয়ে আসা৷ অন্যদিকে দলে এমন লোক আছে যাঁরা ভীতু৷ তাড়িয়ে দিন৷ চলো ভাই যাও৷ আরএসএসের দিকে পালাও৷ দরকার নেই৷’ তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের ভয়মুক্ত লোক চাই৷ এটাই কংগ্রেসের মতাদর্শ৷ এটাই আমার বার্তা৷’
আরও পড়ুন: ১০ মিনিটের ব্যবধানে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ পেলেন মহিলা
বিক্ষুব্ধদের নিয়ে জেরবার কংগ্রেস৷ এ জন্য বহু নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং জিতিন প্রসাদ৷ এর মধ্যে জি-২৩ নামে কংগ্রেসের অন্দরে তৈরি হয়েছে নতুন শিবির৷ যাদের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বলেও সম্বোধন করা হয়৷ জি-২৩-র কিছু নেতা একজোট হয়ে কংগ্রেসের দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ দলের নেতৃত্বের কাজকর্ম নিয়েও প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন৷ এদিকে বছর ঘুরলেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন৷ আর ভোট এলেই দলবদলের মরসুম শুরু হয়ে যায়৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, ‘দুর্বল’ কংগ্রেসকে ছেড়ে অনেক নেতাই বিজেপিতে লাফ মারার জন্য বসে আসেন৷ সম্ভবত সেটা বুঝে আগেই তাঁদের কড়া বার্তা দিলেন রাহুল৷ বুঝিয়ে দিলেন, হয়ে দলে থাকো নইলে চলে যাও৷ কংগ্রেসে আর দর কষাকষি চলবে না৷