নয়াদিল্লি, ২৭ এপ্রিল : জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে এবার রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলল কেন্দ্র ৷ নভেম্বর মাসে শুল্ক কমানোর কথা বলা হলেও অনেক রাজ্য তা কমায়নি ৷ আর এ জন্য সেই সব রাজ্যে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাকি রাজ্যের থেকে বেশি ৷ বুধবার করোনা আবহে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁর কথায়, রাজ্যগুলি কেন্দ্রের প্রস্তাব মতো শুল্ক কমালে সেই রাজ্যে তেলের দাম বেশ কিছুটা কমে যেত ৷ এর পরই প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় তেলের দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার শুল্ক কমিয়ে দিয়েছিল ৷ তার পরই রাজ্যগুলির কাছে শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব বলেছিল ৷
রাশিয়-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম দফায় দফায় বেড়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরম আকার নিয়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য একে অপরের দিকে দোষরোপ করে চলেছে ৷ পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো রাজ্য অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতির কারণের তেলের দাম বেড়েছে ৷ অন্য দিকে কেন্দ্র দাবি করেছে, রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব মতো শুল্প কমালে পরিস্থিতি এতটা কঠিন হতো না ৷ বিতর্ক-জল্পনা যখন বাড়ছিল, তখনই এ বিষয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ৷
এ দিন মোদি সরাসরি রাজ্যগুলির উপর দায় চাপিয়ে বলেন,অনেক রাজ্য কেন্দ্রীয় প্রস্তাব উড়িয়ে শুল্ক কমায়নি ৷ এর ফলে হয়তো তামিলনাড়ু, কেরল, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য বেশি শুল্ক পেয়েছে ৷ কিন্তু, ওই সব রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে ৷ মানুষের উপর আরও বেশি করে বোঝা চাপানো হয়েছে ৷ এ দিনের বৈঠকের আর পাঁচটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতো ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মমতার সামনেই বঙ্গ-সরকারের সমালোচনা করেন মোদি ৷
এর পরই প্রধামন্ত্রীর প্রস্তাব, পরিস্থিতি জটিল আকার নিয়েছে ৷ আমার এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে ৷ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে ৷ আর তা হলেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব ৷