কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে মাথায় হাত পড়তে চলেছে মধ্যবিত্তের। এপ্রিল থেকেই দাম বাড়ছে প্যারাসিটামল সহ ৮০০ ওষুধের। আগামী ১ এপ্রিল থেকে বেশ কিছু অতি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার-সহ একাধিক ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির কথা জানাল জাতীয় ওষুধ মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি (NPPA)। প্রতিবছরই ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি ওষুধের পাইকারি মূল্যসূচক (WPI) ঠিক করে। কোনও বছর সেই সূচক বাড়ে, কোনও বছর কমে। সেই নিরিখে চলতি অর্থবর্ষে ওষুধের দাম আবারও বাড়তে চলেছে।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩২)
এনপিপিএ জানিয়েছে, জরুরি ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধের দাম ০.০০৫৫ শতাংশ বাড়ছে। প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিন-সহ বেশ কিছু স্টেরয়েড, ভিটামিন, মিনারেল জাতীয় ওষুধের দাম বাড়ছে। গত বছরেই বহু ওষুধের দাম অন্তত ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে দাম বেড়েছিল ১০ শতাংশ। একটি এনজিও কর্তার দাবি, এবছর ওষুধের দাম তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে। ডায়াবিটিস, ব্লাডপ্রেশারের ওষুধ সহ ৬৯টি ওষুধের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথরিটি জানিয়েছে, এই ধরনের ওষুধগুলির দামের ঊর্ধ্বসীমা ৮ টাকা ৯২ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরের পর ৫ দিনে ৮টি সভা করবেন মমতা
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই ফার্মা সংস্থাগুলি শাসকদল বিজেপির নির্বাচনী বন্ডে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা দিয়েছে বলে জানা যায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই বিপুল টাকা তুলতেই ভোটের আগে ওষুধের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কার্যত সমস্যার মুখে ফেলা হচ্ছে। নিত্যদিনের জন্য ওষুধ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ফলে সেটার দাম বেড়ে গেলে পকেটে টান পড়বে মধ্যবিত্তের। ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলতে চাইছে বিজেপি, দাবি রাজনৈতিক দলগুলির।
আরও খবর দেখুন