নয়াদিল্লি: দূষণে কার্যত জেরবার রাজধানী দিল্লি (Delhi)। প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করে ‘ক্লাউড সিডিং’ করেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বরং একিউআই (AIQ) আরও বেড়েছে। এমন অবস্থায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল তন্দুরি (Tandoori) রান্নার প্রচলিত পদ্ধতিতে।
দিল্লি পলিউশন কন্ট্রোল কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী, কয়লা ও জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে রান্না করা যাবে না। হোটেল, রেস্তরাঁ, ধাবা থেকে শুরু করে রাস্তার ধারের ফুড জয়েন্ট—সব ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। ফলে বহুদিনের পরিচিত কয়লার তন্দুরে রান্নার পদ্ধতি এবার কার্যত নিষিদ্ধ। এর জেরে তন্দুরি খাবারের স্বাদ বদলে যেতে পারে বলেই মনে করছেন খাদ্যরসিকরা।
আরও পড়ুন: কলকাতা হবে না! আশ্বাস দিল হায়দরাবাদ, মেসির জন্য কী কী ব্যবস্থা?
আসলে কাঠকয়লার আগুনে মাংস বা খাবার সেঁকা হলে ধোঁয়ার একটি বিশেষ গন্ধ খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। সেই ধোঁয়াটাই তন্দুরি খাবারের স্বাদে যোগ করে আলাদা মাত্রা। নয়াদিল্লির লাজপত নগর, করোল বাগ কিংবা সুভাষ নগরের সন্ধ্যার পরিচিত গন্ধ অনেকটাই তন্দুরির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। নতুন নিয়মে গ্যাস ওভেন বা ইলেকট্রিক উনুনে রান্না হলে সেই চেনা কাঠকয়লার গন্ধ আর পাওয়া যাবে না। ফলে একই তাপমাত্রায় রান্না হলেও স্বাদে আসতে পারে স্পষ্ট পার্থক্য।
তবে প্রশ্ন উঠছে, কয়লার তন্দুর আদৌ কতটা প্রভাব ফেলে দিল্লির দূষণে? বিশেষজ্ঞদের মতে, সামগ্রিক দূষণের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা হয়তো সবচেয়ে বড় নয়। কিন্তু জনবহুল বাজার ও এলাকায় সারাদিন ধরে অসংখ্য কয়লার তন্দুর জ্বলে। সেখান থেকে নির্গত সূক্ষ্ম ধুলো-কণা যানবাহনের ধোঁয়া ও শীতকালীন বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে মিশে একিউআই বাড়াতে সহায়ক হয়। সেই প্রভাব মাঝারি হলেও, নিয়ন্ত্রণে আনলে দূষণ বৃদ্ধির গতি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব—এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। দূষণ রুখতে তন্দুরি স্বাদের এই বদল কতটা মেনে নিতে পারবেন দিল্লিবাসী, এখন সেটাই দেখার।
দেখুন আরও খবর: