নয়াদিল্লি: পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন নিয়ে ক্ষোভ তো ছিলই, বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র এখন পেগাসাস (Pegasus)। সোমবার বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। সংসদ শুরুর আগে বিরোধীদের কাছে ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ’ বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু সেই আবেদন বিফলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: PEGASUS: হেরো বিজেপি’র জন্য ২ মিনিটের নীরবতা, অমিত শাহকে বিঁধলেন অভিষেক
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই বিরোধীদের চেঁচামেচিতে উত্তাল হয় সভা৷ প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিতে উঠলে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধীরা৷ বারবার মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। সন্ধ্যেয় এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি একটি বিবৃতিতে জানান, বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কিংবা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভারতের অগ্রগতিকে রুখে দেওয়া যাবে না। বাদল অধিবেশন দেশকে নতুন দিশা দেখাবে।
তবে শাহ যাই-ই বলুন না কেন, পেগাসাস ইস্যুতে মোদি সরকারকে চেপে ধরতে তৎপর বিরোধী শিবির। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ইতিমধ্যেই ২৬৭ পাতার নোটিস জমা দিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেণ। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংও আলোচনা চেয়ে রাজ্যসভায় জিরো হাওয়ার নোটিস দিয়েছেন। সূত্রের খবর, পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রকে আরও চেপে ধরতে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি।
আরও পড়ুন: উন্নয়নকে বেলাইন করার ষড়যন্ত্র, ফোনে আড়িপাতা-কাণ্ডে মন্তব্য শাহের
তবে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য আঁটঘাট বাধছে শাসক শিবিরও। মঙ্গলবার দুপুরে সংসদের উচ্চকক্ষে কোভিড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তার পর সন্ধ্যের দিকে পেগাসাস ইস্যুতে সংসদে বক্তব্য রাখতে পারেন নয়া তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি জড়িত নয়।
‘দ্য ওয়্যার’ নিউজ পোর্টাল রবিবার ৪০ জন সাংবাদিক, ২ মন্ত্রী, ৩ বিরোধী দল নেতা, শিল্পপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির ফোনে আড়ি পাতার তথ্য সামনে এনে ছিল৷ এই খবর প্রকাশ পেতেই বিরোধীরা সরকারপক্ষকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন। কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তীর্থে গিয়ে ধ্যানমগ্ন দিলীপ, মন পড়ে কলকাতায় পুলিশের ‘লাঠি’তে
তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে খেলা করা হয়েছে। মোদির বিরুদ্ধে কথা বললেই তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হতো। এমনকী মানুষের ফোনে আড়ি পেতে বেড রুমের কথা শুনতো মোদি সরকার, অভিযোগ কংগ্রেসের। এই দায় স্বীকার করে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি কংগ্রেসের। অবকি বার, জাসুস সরকার বলে, মোদি সরকারকে তীক্ষ্ণ বাণে বেঁধেন কংগ্রেসিরা।