ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগাম (Pahalgam) কাণ্ডের পর থেকেই ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে ভারত। পাকিস্তানকে (Pakistan) নিশানা করে হুঙ্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Narendra Modi)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তির উপর স্থগিতাদেশ, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত, ভারতের আকাশে বন্ধ পাক বিমান সহ ভারতে বন্দরে ভিড়তে পারবে না পাক পতাকাবাহী জাহাজ। বন্ধ আমদানি। সেনার তিন বিভাগকেই ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।
এবার ৭ মে সেই দিন, যেদিন মক ড্রিল (Mock Drill) করবে ভারত। এটা যে কোনও সাধারণ বিষয় নয়। কারণ এভাবে দেশের সব রাজ্যে মক ড্রিল করার কথা সচরাচর বলা হয় না কেন্দ্রের তরফে। ১৯৭১-এ ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে এমন মহড়া বা মক ড্রিল হয়েছিল রাজ্যে রাজ্যে। এই প্রথম এমন মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার এই মক ড্রিল হবে বলে ভারত সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পর বিদেশের একাধিক বিমান সংস্থা পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়াচ্ছে…
জানা গেছে, দেশের ২৪৪টি জেলায় মক ড্রিল হবে। গোটা বিষয়টি দেখবে রাজ্য প্রশাসন। নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন, এনসিসি অংশ নেবে। এয়ার রেড সাইরেন বাজিয়ে পরীক্ষা করা হবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে বাজবে এই অ্যালার্ম। স্কুল, অফিস, কমিউনিটি সেন্টারে হবে ওয়ার্কশপ। হামলা হলে, কাছাকাছি জায়গায় কি ভাবে আশ্রয় নেবে তা শেখানো হবে। হামলার মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করা সহ প্রাথমিক চিকিৎসার পাঠও দেওয়া হবে। হঠাৎ ব্ল্যাকআউট বা অন্ধকার হয়ে যাবে শহর। নিভে যাবে সব আলো।
রাতের অন্ধকারে কোনও এয়ার স্ট্রাইক হলে, সেই কৌশল নেওয়া হবে। ৭১-এর যুদ্ধের সময় এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল। মিলিটারি বেস, পাওয়ার প্লান্ট বা গুরুত্বপূর্ণ ভবন এমনভাবে ঢাকা দেওয়া হবে, যাতে স্যাটেলাইয়ে ধরা না পড়ে? ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শেখানো হবে, কীভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা হবে, কিভাবে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করা হবে, তা শেখানো হবে।
পাকিস্তানকে জবাব দিতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে ১১ দিন ধরেই একটানা সীমান্ত গুলিবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
রবিবার, ৪ মে, ফিরোজপুর সেনানিবাস এলাকা জুড়ে ব্ল্যাকআউটের জন্য ৩০ মিনিটের মহড়া ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং স্টেশন কমান্ডারের নির্দেশে রাত ৯:০০ থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মহড়াটি পরিচালিত হয়েছিল।
দেখুন আরও খবর-