ভারত আর পাকিস্তান এই দুই দেশের মধ্যে জ্বলন্ত ইস্যু কাশ্মীর সমস্যা। বার বার এই অংশের দখল নিয়ে সুর চড়িয়েছে দুই দেশই। এবার সেই বিতর্ককে আরও এক ধাপ উসকে দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে প্রয়োজন পড়বে না পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারের। তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্যে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক।
আরও পড়ুনঃ আগামী শুক্রবার নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি
এ বছর জুনের শেষে চীনের সাংহাই প্রদেশে কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এর আগে ভারতের ম্যাপ ভুল প্রকাশিত হয়েছিল। কে২ সংলগ্ন কাশ্মীরকে ভারতের অংশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই কথা ওঠে গত বছর মিটিং এ। সেখানে এই নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে ডোভাল বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তারপর এই প্রথম মুখোমুখি হবেন ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। ঠিক তার আগেই সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ফের একবার কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে আনলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এর জন্য আমেরিকার সাহায্যও চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ কোভিড নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ রাহুল গান্ধীর
এর আগে ভারতের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে পাকিস্তান পরমাণু বোমা মজুত করছে ভারতের কাশ্মীর দখল করার উদ্দেশ্যে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সেই লক্ষ্যে পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার দ্রুতগতিতে বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র শুধু অন্য দেশের থেকে নিজের দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। এই বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, প্রতিবেশী দেশটি সাত গুণ বড় হয়, তাই এই সাবধানতা খুব স্বাভাবিক।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন সিপিআই(এম এল) লিবারেশনের
ইমরানের দাবি, তিনি শুরু থেকেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে। আর সেই কারণেই ভারত ও পাকিস্তান দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাদের সীমান্ত সমস্যা যুদ্ধ অবধি গড়ায়নি। ইমরানের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘কাশ্মীর নিয়ে যে মুহূর্তে বোঝাপড়া হয়ে যাবে, দুই প্রতিবেশী দেশ ভদ্রসভ্য মানুষের মতো বাঁচবে। পরমাণু অস্ত্রের আর প্রয়োজনই হবে না।’ আর এই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আমেরিকার হস্তক্ষেপ চান তিনি। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও এ ব্যাপারে দু’বার কথা বলেছিলেন ইমরান। ট্রাম্প মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, কিন্তু ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়, এ ব্যাপারে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ভারত বরদাস্ত করবে না। বৈঠকে মুখোমুখি হওয়ার আগেই এই মন্তব্যের জেরে বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞ মহল।