নয়াদিল্লি: চিঠি, মিডিয়া রিপোর্ট সহ বিভিন্ন প্রমাণের উপর ভিত্তি করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারে ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)। বৃহস্পতিবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এ কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এএম খানভিলকার, হৃষিকেশ রায় এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এনজিটি অ্যাক্ট ২০১০-এর আওতায় এই ক্ষমতা ভোগ করে এনজিটি।
গ্রেটার মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বনাম অঙ্কিতা সিনহা ও অন্যান্য কয়েকটি কেসের পর্যালোচনার সময় ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার ক্ষমতা রয়েছে কি না তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে সমস্ত পক্ষের মতামত শুনে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এনজিটির স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার ক্ষমতা রয়েছে।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর এই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। তার আগে টানা চারদিন ধরে বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর মত নেয় আদালত। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের ক্ষমতা আইনজীবী আনন্দ গ্রোভারের নেই বলে জানান আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার। কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্যা ভাটি জানান, পদ্ধতিগত আইন দ্বারা এনজিটির ক্ষমতা হ্রাস করা যাবে না।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুকুল রোহতগি, দুশ্যান্ত দাভে, আত্মারাম নাডকার্নি, ভি গিরি, কৃষ্ণন ভেনুগোপাল, সিদ্ধার্থ দাভে, সাজন পুভায়া, ধ্রুব মেহতা, জয়দীপ গুপ্ত যুক্তি দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র সাংবিধানিক আদালতই স্বতঃপ্রণোদিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট নিধেশ গুপ্ত, সঞ্জয় পারিখ এবং গোপাল শঙ্করনারায়ণ পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন, পরিবেশ বাঁচানোর স্বার্থে এনজিটিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় সড়ক বন্ধ করে বলছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন’, কৃষক সংগঠনকে তিরষ্কার সুপ্রিম কোর্টের