লখনউ: এখনও বিজেপিতেই আছি৷ সমাজবাদী পার্টিতে (Samajwadi Party) যোগ দিইনি৷ বুধবার দলবদল নিয়ে জল্পনায় জল ঢেলে নিজেই এ কথা জানালেন যোগী মন্ত্রিসভা (Yogi Adityanath’s Cabinet) থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য (Swami Prasad Maurya)৷ তবে বিজেপির সঙ্গে আদৌ আর ঘর করবেন কি না সেই প্রশ্ন রয়েই গেল৷ যার জবাবে মৌর্য বলেন, ‘অপেক্ষা করুন৷ আমার পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সব শুক্রবার জানাব৷’
তবে বিধানসভা ভোটের মুখে মৌর্যের আচমকা পদত্যাগ বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের মনে কিছুটা হলেও ভয় ধরিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ অধুনা প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী নিজেই এদিন বলেন, ‘আমার পদত্যাগের পর বিজেপিতে ভূমিকম্প দেখা দিয়েছে৷ আমি শুধু মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে৷ বিজেপিও ছাড়ব তাড়াতাড়ি৷ তবে সমাজবাদী পার্টিতে এখনই যোগ দিচ্ছি না৷’ মঙ্গলবার মৌর্যের পদত্যাগের পর বিজেপি ছাড়ার কথা কথা ঘোষণা করেন চার বিধায়ক৷ প্রাক্তন মন্ত্রীর ইঙ্গিত, আরও অনেক বিধায়ক-নেতা তাঁর সঙ্গেই বিজেপি ছাড়বেন৷
দলের শীর্ষস্তরের সঙ্গে মৌর্যের মতানৈক্য নতুন নয়৷ দু’মাস আগে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে যোগীর ব্যাপারে নালিশ করেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, যোগীর কাজ করার স্টাইল তাঁর মোটেও পছন্দ নয়৷ সূত্রের দাবি, তাঁর অভিযোগকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ তাই বলে ভোটের মুখে মন্ত্রিসভা থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন এমনটা কল্পনাও করতে পারেননি গেরুয়া শিবিরের নেতারা৷ মৌর্যের মতো পিছড়ে বর্গ নেতার দলত্যাগে বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই৷ তাই তাঁকে বুঝিয়ে দলে ধরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ৷ সূত্রের খবর, উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব চন্দ্র মৌর্যকে সেই দায়িত্ব সঁপেছেন যোগী৷ এখন দেখার স্বামী প্রসাদ মৌর্যের মতবদলে সক্ষম হন কি না কেশব চন্দ্র মৌর্য৷ যদিও ৬৮ বছর বয়সী বিক্ষুব্ধ নেতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপিতে থাকার প্রশ্নই ওঠে না৷
আরও পড়ুন: হরিদ্বার ধর্ম সংসদ মামলায় উত্তরাখণ্ডকে সুপ্রিম নোটিস
এদিকে কোনও কোনও সূত্রে খবর, সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে চলেছেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য৷ ১৪ জানুয়ারি তাঁর যোগদান করার কথা৷ মঙ্গলবার ইস্তফা দেওয়ার পর সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব টুইট করে তাঁর সঙ্গে মৌর্যের একটি ছবি পোস্ট করেন৷ লেখেন, সমাজবাদী পার্টিতে স্বাগত৷ যদিও সপাতে যোগ দেওয়ার আগে স্বামী প্রসাদ জানান, তিনি অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন৷ ১৪ জানুয়ারি সেই সিদ্ধান্তের কথা সবাই জানতে পারবে৷