নয়াদিল্লি : রাজ্যের বকেয়া দ্রুত দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে ফের অনুরোধ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ৷ পাশাপাশি, যে ভাবে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়েও আজ প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে অনুযোগ জানিয়েছেন মমতা ৷ এ ভাবে রাজ্যের অভ্যন্তরে বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত বলেও মোদির কাছে স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
এ দিনের বৈঠকে করোনা টিকা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মমতা ৷ প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠকের পর মমতা সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের মানুষের টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আরও বেশি করে টিকার প্রয়োজন ৷ যাতে বাংলার জন্য আরও টিকার ব্যবস্থা করা হয়, সে বিষয়টি যেন প্রধানমন্ত্রী আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, আজকের বৈঠকে সে কথা তুলে ধরেন মমতা ৷
আজকের বৈঠকে এপ্রিলের বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ মমতার জানান, ২০ এপ্রিলের সেই আমন্ত্রণ নরেন্দ্র মোদি গ্রহন করেছেন ৷ এ কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে মমতা স্পষ্ট করেছেন, বাণিজ্য-শিল্পের অগ্রগতি ছাড়া কোনও রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয় ৷ সেই শিল্প-বাণিজ্যকে আগামী দিনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই বাংলার প্রধান লক্ষ্য ৷ সে জন্যই শিল্প সম্মেলনের আয়োজন ৷ আজ মমতা এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক একটা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পক্ষে অত্যন্ত জরুরি ৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আজকের এই বৈঠক বলেও মমতা স্পষ্ট করেন ৷
আরও পড়ুন – শিল্প সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ মমতার
আজকের বৈঠকে ত্রিপুরার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান মমতা ৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এ ভাবে একটা রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটছে ৷ যা কোনও ভাবেই কাম্য নয় ৷ যে কোনও মূল্য এই হিংসা বন্ধ করা উচিত ৷” সায়নী ঘোষের গ্রেফতার প্রসঙ্গেও মোদির কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা ৷ সায়নীর মতো একজন জনপ্রিয় শিল্পীকে এভাবে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি বলেও মোদির কাছে অভিযোগ জানান মমতা ৷
আজ সাংবাদিক বৈঠকে প্রথম থেকেই মমতা বুঝিয়ে দেন, এক জন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি ৷ এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই ৷ আর সে কারণে, রাজ্যের বকেয়া, বিএসএফ এবং টিকা- এই তিনটি বিষয় নিয়েই কথা হয় ৷ মমতা বুঝিয়ে দেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই সাক্ষাতের মধ্যে নেই কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ৷