ঝাড়খণ্ড: করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হয়নি। একাদশ শ্রেণির রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেছে ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক বোর্ড। এই ফল বেরনোর পর থকেই চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ছাত্রীদের মধ্যে। বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল বিক্ষোভ । শনিবার ওই বিক্ষোভে ছাত্রীদের ওপর লাঠি চালিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মহকুমা আধিকারিক সুরেন্দ্র কুমার। লাঠি চালানো হয়েছিল দুই পরীক্ষকের উপরেও। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও।
সোমবার ধানবাদের ওই আধিকারিককে বরখাস্ত করার দাবিতে আবার বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিষয়ে ধানবাদের বিধায়ক রাজ সিনহা এই বিষয়ের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, মহকুমা আধিকারিক সুরেন্দ্র কুমার বর্বর লাঠিচার্জের ঘটনা ধানবাদের ইতিহাসে কালা দিবস।’ তিনিও আধিকারিককে বরখাস্ত করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ আদালতের
সাদাব আনসারি নামের এক আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশ লাঠিচার্জ বর্বর এবং সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি গোটা বিষয়টি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সামনেও তুলে ধরেছেন।
ঠিক কী হয়েছিল?
ছাত্রীরা উচ্চমাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে অসন্তুষ্ট। সে কারণেই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। দাবি করেছে পুনর্মূল্যায়নের। বোর্ড ছাত্রীদের দাবি মানতে চায়নি। এরপর শনিবার থেকে ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক বোর্ডের দফতরে। কালেক্টর অফিসের সামনে জড়ো হয় ছাত্রীরা। এক সময় ওই বিক্ষোভে পুলিশকে লাঠি চালাতে দেখা যায়। অমানবিক ভাবে লাঠিচার্জ করতে করতে ছাত্রীদের দফতরের বাইরে বের করে দেওয়া হয় । এই ঘটনার পরেই প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।
আরও পড়ুন- উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আসন সংখ্যা বাড়াল রাজ্য সরকার
ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক বোর্ডের রেজাল্ট অনুযায়ী, সায়েন্স বিভাগের ৮০৩৬ জন ছেলে, ৩৫১৯ জন মেয়ে পাশ করতে পারেনি। কমার্সের ২২২১ জন ছেলে ও ১০৩৪ জন মেয়ে। অন্যদিকে আর্টসের ৯১৯৩ জন ছেলে এবং ১০২৪০ জন মেয়ে ফেল করেছে। এরপর থেকেই এই রেজাল্টের প্রতিবাদে পথে নামে তারা।