তিরুঅনন্তপুরম: কম বয়সে আগ্রহ জন্মেছিল শেয়ার বাজারের প্রতি। নেহাত খেলার ছলেই কিনেছিলেন একটি সংস্থার সাড়ে তিন হাজার শেয়ার। চার দশকের বেশি সময় পরে সেই শেয়ারের দাম হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪০০ কোটি টাকা। বৃদ্ধ বয়সে যখন লক্ষ্মীলাভের আশা দেখতে শুরু করেছেন তখন ভাগের টাকা দিতে অস্বীকার করছে সংস্থা।
ঘটনাটি দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরলের কোচি শহরের। সেখানের বাসিন্দা বাবু জর্জ ভালাভি ১৯৮৮ সালে মেবার অয়েল অ্যান্ড জেনারেল মিলস লিমিটেড-এর সাড়ে তিন হাজার শেয়ার কিনেছিলেন। তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ও সেই শেয়ার কেনার সময়ে বিনিয়োগ করেছিলেন। বিষয়টি একপ্রকার ভুলে গিয়েছিলেন বাবু। বছর খানেক আগে বাড়িতে পুরনো কিছু নথি খুঁজে পান তিনি।
সেই সময়েই হাতে আসে উদয়পুরের মেবার অয়েল অ্যান্ড জেনারেল মিলস লিমিটেড-এর কিছু কাগজ। খোঁজ খবর করে জানতে পারেন যে তাঁর কেনা শেয়ারের বর্তমান বাজারদর ১৪৪৮ কোটি টাকা। ওই সংস্থার প্রায় তিন শতাংশ অংশীদারিত্ব এখন তাঁর হাতে। তবে ১৯৮৮ সালে শেয়ার কেনার সময়ে উদয়পুরের ওই সংস্থা শেয়ার বাজারের নথিভুক্ত সংস্থা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সংস্থার নাম বদলে পিআই ইন্ডাস্ট্রিজ হয়েছে। একই সঙ্গে সেটা শেয়ার বাজারের নথিভুক্ত সংস্থার তালিকাতেও ঢুকেছে।
আরও পড়ুন- নিজের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, সেই রাগে গোটা এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য
একজন এজেন্টের মাধ্যমে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাবু জর্জ ভালাভি। এজেন্ট মারফত কাজ না হওয়ায় সরাসরি সকল নথি নিয়ে পিআই ইন্ডাস্ট্রিজ দফতরে হাজির হন বাবু। সেখানে গিয়ে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পরে তাঁর। সংস্থার দাবি, ১৯৮৯ সালেই নাকি বাবু জর্জ ভালাভির শেয়ার হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর ওই নথির কোনও মূল্য নেই।
আরও পড়ুন- একটি বুস্টার ডোজেই গড়ে উঠবে ৯৪% রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দাবি জনসনের
এই বিষয়ে বাবুর বক্তব্য, “সকল নথি আমার কাছে রয়েছে। আর এগুলো সবই প্রকৃত নথি। তাহলে আমার শেয়ার বিক্রি হল কী করে?” সেই তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে পিআই ইন্ডাস্ট্রিজ অবৈধ ভাবে তাঁর শেয়ার অন্যদের বেচে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সেবি-র দ্বারস্থ হয়েছেন বাবু জর্জ ভালাভি।