বেঙ্গালুরু: দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে একটানা সরকার গঠন প্রায় অসম্ভব। প্রতি পাঁচ বছরে ওই রাজ্যে সরকার বদলে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। সেই জায়গায় ২০২১ সালে ভিন্ন ছবি দেখা গিয়েছে। দীর্ঘদিন পরে টানা দুই বার একই দল ওই রাজ্যে সরকার গঠন করেছে। এই মুহূর্তে দেশের একমাত্র বাম শাসিত রাজ্য কেরল। দ্বিতীয় দফায় কেরলে বামেদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- অভিষেক ফিরতেই বিপাকে ত্রিপুরার তৃণমূলকর্মীরা
বামেদের বিরুদ্ধে কেরলে কংগ্রেসের পরাস্ত হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ এবং বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা। এমনই দাবি করেছেন বিজেপির প্রবিণ নেতা তথা কর্ণাটকের মন্ত্রী কেএস এসওয়ারাপ্পা। ভোটের আগে বাম সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠেছিল। সোনা পাচারের অভিযোগ উঠেছিল এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তারপরেই সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছেন কেরলের আমজনতা।
আরও পড়ুন- নিজের শোকজ রুখতেই কী দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য ?
কেরলে বামেদের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। কিন্তু কেরল হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে হাত শিবিরের। ওই রাজ্যের ওয়ানাড কেন্দ্রের সাংসদ স্বয়ং রাহুল গান্ধী। তারপরেও কেরলে বহাল থেকেছে বামেদের দাপট। যার কারণ হচ্ছে বিজেপিকর্মীদের উপরে নির্যাতন। কর্ণাটকের মন্ত্রী কেএস এসওয়ারাপ্পা বলেছেন, “কেরলে হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বললেই বিজেপি কর্মী বা সংঘসেবকদের উপরে হামলা চালান হতো। গোরক্ষার কথা বলে আমাদের অনেক কর্মী প্রাণ হারিয়েছে। সেই কারণেই এখন ওই রাজ্য হাতছাড়া হয়ছে কংগ্রেসের।”
আরও পড়ুন- অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা মহিলা এখন দিনমজুর
বর্তমানে কেরলে বিজেপি আগের থেকে অনেক শক্তিশালী। তাই বিজেপি নেতা কেএস এসওয়ারাপ্পা হামলার মুখে পড়লে কর্মীদের পালটা জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেসকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, “আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা হলে পালটা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকবেন।” খুব স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রীর মুখে এই ধরণের হিংসাত্মক মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যা নিয়ে কেএস এসওয়ারাপ্পার প্রতিক্রিয়া, “আমার অবস্থানে আমি অনড় থাকছি। আমাদের মহিলাদের উপরে ধর্ষণ হলে কী আমরা চুপ করে বসে থাকব?”
আরও পড়ুন- ‘আমার নয়, এই সোনা গোটা দেশের’, সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে বললেন নীরজ চোপড়া