ধানবাদ: বুধবার ভোরে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন ধানবাদের জেলা বিচারক উত্তম আনন্দ। তাঁকে ধানবাদের ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির কাছে এক অটো এসে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার পর তাঁকে স্থানীয়রা নির্মল মহতো মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী কৃতি সিনহা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তের স্বার্থে খতিয়ে দেখা হয় ওই রাস্তার সিসিটিভি। এবং এই দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই ছড়াল চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন- বরাবাঁকিতে ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট ১৮
কী দেখা গেল ফুটেজে ?
দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখতেই মুহূর্তে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়। ফুটেজে দেখা যায় ভোর ৫ টা বেজে ৮ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে একটি অটো ইচ্ছাকৃত ধাক্কা মারে ধানবাদ জেলা বিচারক উত্তম আনন্দকে। অটোর মধ্যে দুজন ছিল। ধাক্কা মারার পর অটোটি সরাইদেলার দিকে চলে যায়। ফলে স্পষ্টতই আন্দাজ করা যায় ধাক্কাটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই মারা হয়েছে। এরপরই জেলা বিচারকের মৃত্যুটি খুন কিনা সেই জল্পনা শুরু হয়। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ফুটেজ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
কী কারণে হতে পারে খুন?
বিচারক উত্তম আনন্দ বিখ্যাত রঞ্জিত সিংহ হত্যা মামলার শুনানি করছিলেন। সেই কারণেও হতে পারে। অন্যদিকে, রবি ঠাকুর এবং আনন্দ ভার্মার দায়ের করা জামিনের আবেদন খারিজ করেছিলেন। এছাড়াও রাজেশ গুপ্তের বাড়িতে বোমা ফেলার মামলার শুনানিও করছিলেন।
আরও পড়ুন- রাজধানী দিল্লিতে ‘ঠিকানা-হারা’ মুকুল রায়
বিচারককে ধাক্কা দেওয়া অটোটি কার?
যে অটোটি ধাক্কা মেরেছে বিচারক উত্তম আনন্দকে। জানা গিয়েছে অটোটি সুগনি দেবীর। তবে, তিনি জানিয়েছেন দুর্ঘটনার আগের দিন রাতেই তাঁর অটোটি চুরি গিয়েছে।
মৃত্যুর খবর পেয়ে বিচারকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিচারক রাম শর্মা, বিচারক অরবিন্দকুমার পান্ডে, বিচারক অর্জুন সাউ-সহ অনেকে। তাঁরা সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে, আনন্দের স্ত্রী দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত চলছে। এখনও গ্রেফতার করা যায়নি কাউকে। দাবি করা হয়েছে সিবিআই তদন্তের।