কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: একে করোনায় রক্ষে নেই, দোসর মাঙ্কি পক্স। এক দেশ থেকে আরেক দেশে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কি পক্সের প্রভাব। এই পরিস্থিতিতে ভারতে যাতে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য চালানো হচ্ছে নজরদারি। মাঙ্কি পক্স রুখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বেশ কিছু নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
১. মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত দেশগুলিতে গত ২১ দিনের মধ্যে যারা ঘুরে এসেছেন সেই সব নাগরিকদের মাঙ্কি পক্সের কোনও লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁদের আইসোলেশনে রাখতে হবে।
২. ওই ব্যক্তি কতদিন আইসলেশনে থাকবেন সেটা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি দেখে ঠিক করবেন মেডিকেল অফিসার।
৩. ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে ।
৪. উপসর্গ দেখা গিয়েছে এমন ব্যক্তিদের ডিস্ট্রিক্ট সার্ভাইলেন্স অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
৫. কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠাতে হবে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে।
মাঙ্কি পক্স কী
স্মল পক্স-এর গোত্রের ভাইরাস মাঙ্কি পক্স। অত্যন্ত বিরল এই ভাইরাস। ১৯৫৮ সালে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসের হদিশ মেলে। ১৯৭০ সালে রিপাবলিক অফ কঙ্গোর এক বাসিন্দার দেহে মাঙ্কি পক্স থাবা বসায়। ২০০১ সালে শেষবার যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (হু)-র ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে।
আরও পড়ুন- Monkeypox: বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা, উদ্বেগ প্রকাশ গবেষকদের
মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ
সারাদেহে প্রচুর পরিমাণে র্যাশ বের হয়। অসহ্য যন্ত্রণাও হয়। তীব্র জ্বর, সর্দি-সহ অন্যান্য উপসর্গও দেখা যায়। তবে স্মল পক্স-এর তুলনায় এটি বিরল।
কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়
কোভিড যে ভাবে ছড়ায়, মাঙ্কি পক্স-ও একইভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেটে মাঙ্কি পক্স ভাইরাস থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই তা ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক আবশ্যিক।