নয়াদিল্লি: চলতি বছরে মার্চের শুরুর দিকে দেশে করোনার যে গ্রাফ দেখে স্বস্তি মিলেছিল দেশবাসীর। এবার সেই ছবি ক্রমশ বদলাচ্ছে। গত বছর যেভাবে ধীরে ধীরে মাথা চাড়া দিচ্ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এবছর সেরকম কিছুরই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকেরা। পরিষ্কার করে বললে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কারণ প্রতিদিনই প্রায় ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই এখনই সতর্ক না হলে ফের ঘরবন্দি হতে পারে গোটা দেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ হাজারের গণ্ডি।মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এমনকি নতুন করে বেড়েছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। যা পৌঁছেছে এক লক্ষের কাছে। দেশের এই পরিস্থিতিতে যে রাশ টানা দরকার তা নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে সরকারকে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রশাসনের চেষ্টায় গত বছরের শেষে যেভাবে করোনার গ্রাফে হ্রাস টানা গিয়েছিল। তা আবার ব্যর্থ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মেডিকেল বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮১৯ জন । দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.১৬ শতাংশ। দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে, ১ লক্ষ্য ৪ হাজার ৫৫৫ জন। যা গতকালের থেকে ৪ হাজার ৯৫৩ জন বেশি।
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এই তিনবার করোনার বাড়বাড়ন্তের ছবি দেখেছে দেশবাসী। তার পরেও উদাসীন জনতার মুখে মাস্কের অভাব। সচেতনতা ভুলে কারও হাতে বা কারও পকেটে থাকছে মাস্ক। আর তার ফলই নিঃসন্দেহে যে দেশের করোনার মৃত্যু গ্রাফে পড়ছে তা বলাই বাহুল্য। তা পরিষ্কার দেশের কোভিড রিপোর্টে। কারণ দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ১১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন। যা আগের দিনের থেকে খানিকটা বেশি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৩ হাজার ৮২৭ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৫ শতাংশে। ফলে দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ যে আঁছড়ে পড়তে পারে যে কোনও মুহূর্তে, তা প্রতিদিনের করোনার রিপোর্ট থেকেই খানিকটা স্পষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন Maharashtra Political Crisis: আজই বিজেপি-শিন্ডে গোষ্ঠীর পৃথক কৌশল বৈঠক, দফতর নিয়ে দর কষাকষি