নয়াদিল্লি: করোনার (Corona) তৃতীয় ঢেউ কি হানা দিল দেশে? বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন কিন্তু সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মাসদুয়েক যাবত সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। আচমকা ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে কোভিডের (Corona) গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯২ জন। যা দু’মাসে সর্বোচ্চ।
মোট আক্রান্তের ৭০ শতাংশ আক্রান্ত কেরলের বাসিন্দা। দৈনিক মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশই কেরলের। ওনামের পর থেকেই দক্ষিণের এই রাজ্যে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি জানিয়েছে, অক্টোবরের মাঝামাঝি কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ফের দেশের ‘আর ভ্যালু’ ১-এর উপর উঠেছে।
তৃতীয় ঢেউ কবে আঘাত হানবে তা অবশ্য স্পষ্টভাবে বলা হয়নি রিপোর্টে। তবে সংকট মোকাবিলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনেশনের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বৃহস্পতিবার বলেছেন, কেরলের পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। কেরল লাগোয়া তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের জেলাগুলিকে টিকাকরণে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ভাঙতে সক্ষম করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘মিউ’, চিন্তায় হু
ভ্যাকসিন সরবরাহে গতি আসায় সম্প্রতি টিকাকরণের হার বেড়েছে। দেশে এ পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ৬৬ কোটিরও বেশি মানুষ। একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, দুই-তৃতীয়াংশ ভারতীয়র দেহে ইতিমধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃতীয় ঢেউ হানা দিলেও তার প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম পড়বে। কেরলে একটি গবেষণার দেখা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর যারা কোভিশিল্ডের অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের দেশের ৩০ গুণ শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।