বেঙ্গালুরু: মঙ্গলবার হিজাব মামলায় রায় দেবে কর্নাটক হাইকোর্ট। ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানি শেষ করেছে। বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি জে এম খাজি এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এম দীক্ষিত। শুনানি চলাকালীন কর্নাটক সরকার আদালতে জানায়, ধর্মীয় বিষয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রাখা উচিত। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গা নাভাদগি বলেছিলেন, ‘হিজাব প্রয়োজনীয় ধর্মীয় ঐতিহ্য নয়। ভীমরাও আম্বেদকর গণপরিষদে বলেছিলেন, ধর্মীয় বিষয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রাখা উচিত।’
হিজাব মামলায় রায়দানের কারণে রাজধানী শহর বেঙ্গালুরুতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পান্ত জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে সব ধরনের জমায়েত, আন্দোলন, বিক্ষোভ বা অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকবে। দক্ষিণ কন্নড় জেলাতেও কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলাশাসক ডাঃ রাজেন্দ্র কেভি জানান, মঙ্গলবার জেলার সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। বাইরের সেন্টারে চলা পরীক্ষাগুলি নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী হলেও সমস্ত স্কুল ও কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা স্থগিত রাখা হচ্ছে।
মাসখানেক আগে উদুপি প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজের ৬ ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্লাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ওই ছাত্রীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। ধীরে ধীরে তা কর্নাটকের অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমেই তা বড় আকার নেয়। কিছু হিন্দু ছাত্রী হিজাবের পালটা জাফরান শাল পরে কলেজে আসায় উত্তেজনা আরও বাড়ে। কয়েকজন পড়ুয়া কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা করেন। হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন: Amit Shah: “ইউনিফর্মেই বিশ্বাসী…, কিন্তু আদালতের রায় মানব’’, হিজাব বিতর্কে অমিত শাহ
হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানায়, এই মামলায় রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কর্নাটক হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টে যান। তবে শীর্ষ আদালত বিষয়টি শুনতে অস্বীকার করে। আবেদনকারীদের হাইকোর্ট আবেদন জানানোর কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট।