নয়াদিল্লি ও আমেদাবাদ: মোদি পদবি বিতর্ক মামলায় রাহুল গান্ধীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ, শুক্রবার রায় জানাতে পারে গুজরাত হাইকোর্ট। কংগ্রেস নেতা তথা ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুলের আবেদন নিম্ন আদালত খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। মোদি পদবি নিয়ে তাঁর একটি মন্তব্যের জেরে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করা হয়। তার জেরে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরাতের আদালত। রাহুলকে সাজাও দেন বিচারক। যার ফলে রাতারাতি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ এবং বাংলোও ছাড়তে হয় তাঁকে।
এদিন বেলার দিকে বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক সেই মামলার রায় দেবেন। এদিনের রায়ের উপরই নির্ভর করছে রাহুলের সাংসদ জীবনের ভবিষ্যৎ। উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল সাময়িক স্বস্তি মেলে রাহুল গান্ধীর। মানহানির মামলায় সুরাতের জেলা ও দায়রা আদালতে জামিন পান তিনি। তাঁকে যে ২ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল, তাও আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় আপিল আদালত। আদালতের নির্দেশের পরেই রাহুল টুইটে লেখেন, এটা ‘মিত্রকালের’ বিরুদ্ধে, লোকতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই। এই সংঘর্ষে সত্য আমার অস্ত্র, আর সত্যই আমার আশ্রয়।
আরও পড়ুন: Maharashtra | গভীর রাতে শিন্ডের বাড়িতে ফড়নবিশ, ফের কী নাটকীয় পরিবর্তন মারাঠা রাজনীতিতে?
সেদিন সশরীরে সুরাত গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের এই সুরাতে যাওয়া নিয়ে তেলেবেগুনে চটে বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, অশান্তি পাকাতে সুরাতে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করতেই সাঙ্গোপাঙ্গ, পরিবারের সদস্য এবং নেতাদের নিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা। একে ছেলেখেলা বলেও উপহাস করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে মানহানির মামলায় (Defamation Case) জড়িয়ে ছিলেন রাহুল গান্ধী। গত ২৩ মার্চ সুরাত আদালতের তরফে ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অবশেষে আজ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন রাহুল গান্ধী। মানহানি মামলায় তাঁকে যে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে, সুরাতের সেশন কোর্টে (Surat Session Court) তার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করার আর্জি জানান কংগ্রেস নেতা।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকে একটি জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, সমস্ত চোরেদের পদবি মোদি হয় কেন? তা সে নীরব মোদিই হোক বা ললিত মোদি কিংবা নরেন্দ্র মোদি। রাহুলের এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়েই মানহানির মামলা করা হয়। গুজরাতের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি সুরাত আদালতে মামলা করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই মন্তব্য করে গোটা মোদি সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন। গত ২৩ মার্চ সুরাত আদালত ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়।