নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশে বিপন্ন গণতন্ত্র (Global Civil Ratings)। প্রতিবাদ করলেই সরকারের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিনা কারণে ইউএপিএ-র ধারা দিয়ে মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্থা ‘সিভিকাস’ একটি রিপোর্ট (Global Civil Ratings) এমনটাই দাবি করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দিক থেকে ভারতকে ‘নিপীড়িত’ দেশগুলির তালিকায় স্থান দিয়েছে সংস্থাটি। ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া গণতন্ত্রের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক আগেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
‘সিভিকাস পিপল পাওয়ার আন্ডার অ্যাটাক ২০২১’ প্রতিবেদনে ভারতের সম্পর্কে করে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, যেমন দমনমূলক বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) মোদি সরকার পরিকল্পিতভাবে অপব্যবহার করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় কয়েক ডজন মানবাধিকার কর্মীকে বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের জামিনের ব্যাপারে কোনও সাহায্য করা হয়নি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্থাটির রিপোর্টে ২০১৮-র ভীমা কোরেগাঁও- এলগার প্রসাদ জাতি হিংসার মামলায় সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজকে আটকে রাখার প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের বাড়িতে অভিযান এবং রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রয়োগের কথাও বলা হয়েছে। এমনকি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের দমানোর জন্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: এ বার মোদি, দেশের সাফল্য দেখাতে আমেরিকার ছবি ব্যবহারের অভিযোগ
সিভিকাস দেশগুলিকে পাঁচটি বিভাগে ভাগ করেছে, যেখানে ‘উন্মুক্ত’ দেশগুলির জনগণ গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা উপভোগ করছে এবং ‘নিপীড়িত’ দেশের বাসিন্দারা কঠোর বিধিনিষেধের সম্মুখীন হয়েছেন। ভারত ছাড়াও, ‘নিপীড়িত’ স্থান পাওয়া দেশগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং আফগানিস্তান। সরকারের কাছে মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে।