নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote) মুখে আবার ধাক্কা কংগ্রেসের (Congress)। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুরেশ পচৌরি (Suresh Pachauri) বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন। শনিবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের উপস্থিতিতে সুরেশ ভোপালে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের কিছু হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তাঁর মতে, রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট এবং তাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য সঠিক ছিল না।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সরকারের মন্ত্রী ছিলেন পচৌরি। ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সুরেশ হেরে যান। তারপর থেকেই তাঁর গুরুত্ব কমতে থাকে দলে। গত বছর বিধানসভা ভোটে লড়াই করেননি তিনি। দলের কাজকর্মেও আর সক্রিয় ছিলেন না।
আরও পড়ুন: কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা চলাকালীনই কংগ্রেস ছেড়েছেন মিলিন্দ দেওরা, অশোক চৌহান, বাবা সিদ্দিকির মতো নেতারা। তাঁরা সকলেই রাহুল ব্রিগেডের লোক বলে পরিচিত ছিলেন। বছর তিনেক আগে মধ্যপ্রদেশের আর এক নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বেশ কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে। সেই কারণে মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ভেঙে যায়। সিন্ধিয়া পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। তিনি রাহুলের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এদিকে শুক্রবার কংগ্রেস প্রথম দফায় লোকসভা ভোটের জন্য ৩৯ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ছত্তীশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বরাবরই চাইছিলেন, দলের হেভিওয়েট নেতারা এবার লোকসভা ভোটে লড়াই করুন। দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালও এবার ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। ভূপেশ, ইবোবি, বেণুগোপালদের নাম প্রথম তালিকায় থাকায় পি চিদম্বরম, শচীন পাইলটদের মতো হেভিওয়েটদের চাপ বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দ্বিতীয় দফায় তালিকা আগামী সপ্তাহেই প্রকাশ হতে পারে।
আরও খবর দেখুন