যত সময় গড়াচ্ছে, ততই বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সূত্র্রের খবর, এই কৌশলেই একনাথ শিন্ডের শিবিরকে কোণঠাসা করতে চাইছে উদ্ধব শিবির। আগেই বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। সেইমতো ওই বিধায়কদের বিরুদ্ধে কেন দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে তাঁদের চিঠি দিচ্ছেন ডেপুটি স্পিকার। জাতীয় কর্মসমিতিতে শিন্ডেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে শিবসেনা।
এদিকে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে শিবসেনা সমর্থকরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন। পুণেতে শনিবার সকালেই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক তানাজি সাওয়ান্তের অফিসে হামলা চালান শিবসেনা সমর্থকরা। ওই অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। শিন্ডে এদিনই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ্য পুলিসের ডিজিকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৩৮ জন বিধায়কের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সমস্যায় পড়েছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে তার দায় বর্তাবে সরকারেরর উপর। তবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিল দাবি করেন, কোনও বিদ্রোহী বিধায়কের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়নি। একনাথ মনগড়া অভিযোগ করছেন।
এদিন শিন্ডে থানেতে তাঁর অনুগামীদের পথে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশ মেনে সমর্থকরা বিদ্রোহীদের সমর্থনে কতটা পথে নামতে আগ্রহী হবেন, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন চুপচাপ থাকার পরে এদিন থেকে উদ্ধবের সমর্থকরা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছেন। রায়গড়ে বিদ্রোহী বিধায়ক ভরত গোগাভালের বিরুদ্ধে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। শিন্ডে শিবির তাঁকেই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করেছে। তাঁকে পরিষদীয় দলের নেতা বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে শিন্ডে গোষ্ঠী তাদের নতুন দল বা নতুন মঞ্চের নাম রেখেছে শিবসেনা বালাসাহেব।
আরও পড়ুন:Mallick Bazar: মল্লিকবাজারে হাসপাতালের ৮ তলার কার্নিশ থেকে নীচে পড়লেন রোগী
শিন্ডের কাজকর্ম, দেখেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তাঁর নেতৃত্বে এখন বিদ্রোহী শিবির এখন ব্যাক গিয়ার দিতে শুরু করেছে। তা না হলে কেন শিন্ডে তাঁর সমর্থকদের থানেতে রাস্তায় নামতে বলছেন, প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়েই। শেষ পর্যন্ত কি রণে ভঙ্গ দেওয়ার পথে শিন্ডে শিবির?