নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলার (Delhi Liquor Scam) পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গ্রেফতারির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) সেই আবেদন খারিজ হল। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিল জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। গ্রেফতারের বৈধতা প্রমাণে ইডি পর্যাপ্ত তথ্য, স্বীকারোক্তিমূলক সাক্ষ্য পেশ করেছে। রাজসাক্ষী তথা আপের প্রার্থী জানিয়েছেন, গোয়া নির্বাচনে কেজরিওয়ালকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। আবগারি নীতি প্রণয়নে কেজরিওয়ালের যুক্ত থাকার স্বপক্ষে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। ঘুষের অর্থ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণেও তথ্য মিলেছে। আপের সর্বভারতীয় নেতা হওয়ার সুবাদে তিনি এই সুযোগ পেয়েছেন, মন্তব্য আদালতের।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩৯)
নির্বাচনের মুখে গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেজরিওয়াল। আদালত জানিয়েছে, তাঁকে অর্থ তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই গ্রেফতারি আইনসম্মত কিনা, সেটাই বিচার্য বিষয়। গ্রেফতারির সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়। গ্রেফতারি থেকে মুক্তি এবং নির্বাচনে লড়ার সুযোগ করে দেওয়ার বিনিময়ে রাজসাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে, সওয়াল কেজরিওয়ালের। রাজসাক্ষীরা বয়ান দিয়েছেন আদালতে। তদন্তকারী সংস্থা সেই বয়ান নেয়নি। যথাসময়ে ওই রাজসাক্ষীদের পাল্টা জেরা করার সুযোগ কেজরিওয়ালও পাবেন, জানিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবি খারিজ
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। কেজরিওয়ালকে ইতিমধ্যেই কিংপিন বলে অভিহিত করেছে ইডি। মঙ্গলবার তিহার জেলে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিল আদালত। এদিন ফের ইডির গ্রেফতারির বিপক্ষে সওয়াল করে কেজরিওয়ালের আইনজীবী। তবে আদালত একবাক্যে তা খারিজ করে দেয়। ইডির পক্ষ থেকে বলা হয় জেরায় সহযোগিতা করছেন না কেজরিওয়াল। ফলে ফের তিহার জেলের মেয়াদ বাড়ল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও খবর দেখুন