রায়গঞ্জ: সাত সকালে ঝোপের মাঝে উদ্ধার করা হয়েছে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ এলাকায়। তৃণমূলে পতাকা দিয়ে মুখ বাঁধা ছিল মৃতের। রাজ্যের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে মৃত ব্যক্তিকে নিজেদের দলের লোক বলে দাবি করতে শুরু করেছে কংগ্রেস-বিজেপি।
আরও পড়ুন- রাজ্যজুড়ে পুলিশের অভিযান, খুলে নেওয়া হল শতাধিক গাড়ির নীলবাতি
জানা গিয়েছে যে মৃত ব্যক্তির নাম দেবেশ বর্মন। রায়গঞ্জ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে বিষ্ণুপুরের বুথ স্তরের কর্মী ছিলেন দেবেশ। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবেশ বর্মনকে নিজেদের দলীয় কর্মী বলে দাবি করে লেখেন, “বাংলার শাসকদলের নেতৃত্বে যে রাজনৈতিক হত্যালীলা চলছে তা বন্ধ হয়া দরকার।”
আরও পড়ুন- বকরি ঈদে করোনা নিষেধাজ্ঞায় ছাড়, ভর্ৎসনার শিকার কেরল সরকার
যার পালটা আসরে নামে কংগ্রেস। হাত শিবিরের নেতা তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্র টুইট করে লেখেন, “অমিত মালব্য কজন মিথ্যেবাদী। খুব দায়িত্ব নিয়ে বলছি যে দেবেশ বর্মন কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। আমাদের ওই জলার সভাপতি তুষার গুহ মৃতের বাড়িতে গিয়েছেন।” তিনিও দেবেশ বর্মনের মৃত্যুর জন্য তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। সেই সঙ্গে মৃতের পরিবারের সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়েছে মৃত দেবেশ বর্মনের পরিবার। বিজেপি ওই মৃত ব্যক্তিক নিজদের কর্মী বলে দাবি করলেও কংগ্রেসের বক্তব্যকেই মান্যতা দিয়েছে দেবেশের পরিবার। মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে দেবেশ বর্মন প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি আগে সিপিএম করতেন। পরে কংগ্রেসে নাম লেখান। বিজেপির সঙ্গ ওই দেবেশ বর্মনেই কখনই কোনও সম্পর্ক ছিল না।
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউ শুরু, শিক্ষক নিয়োগে চাই আদালতের অনুমতি
অন্যদিকে, বিজপি এবং কংগ্রেস উভয়েই দেবেশ বর্মনকে খুব করা হয়েছে বলে দাবি করছে। সেই সঙ্গে দুই দলের পক্ষ থেকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ঠিক কী কারণে দেবেশ বর্মনের মৃত্যু হয়েছে তা এখন স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।