কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক ভুয়ো আধিকারিকদের ঘটনা সামনে আসার পরই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই ভুয়ো আধিকারিকদের প্রত্যেকেই নীল বাতি গাড়ি ব্যবহার করতেন। এর পরেই নীলবাতির অপব্যবহার রুখতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার একটি নির্দেশ দেন। লালবাজার থেকে শহরের সমস্ত থানায় নোট পাঠানো হয়। নীলবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহারকারীদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়।
ভুয়ো নীলবাতি গাড়ির সন্ধানে রাজ্য জুড়ে ‘নীলবাতি’ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। চলতি সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরের সব থানায় এই অভিযানের নির্দেশিকা জারি করেছে লাল বাজার। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চালানো হচ্ছে এই অভিযান। এখনও পর্যন্ত ১৯১ টি গাড়ি থেকে নীলবাতি খুলে নেওয়া হয়েছে।
রাস্তায় নীলবাতি গাড়ি চোখে পড়লেই পুলিশ ওই গাড়ি আটকে জিজ্ঞেসাবাদ করছে। পরীক্ষা দেখা হচ্ছে নথিপত্র। যদি নীলবাতি গাড়ি লাগানোর এক্তিয়ার না থাকে তাহলে খুলে নেওয়া হচ্ছে নীলবাতি। নথিভূক্ত করা হচ্ছে গাড়ির নাম্বার। গাড়ির ব্য়বহারকারী কোন পদে রয়েছেন সেই তথ্যও নেওয়া হচ্ছে।
এই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে লালবাজারে। এরপর লালবাজার গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কোনও অসঙ্গতি নজরে এলেই ওই আধিকারিককে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে।
কারা কারা ‘নীলবাতি’ ব্যবহার করতে পারবেন?
১. পার্লামেন্টরি সেক্রেটারি
২. অ্যাডভোকেট জেনারেল (পশ্চিমবঙ্গ)
৩. অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল
৪. স্টেট ইলেকশন কমিশনার (পশ্চিমবঙ্গ)
৫. চেয়ারম্যান, স্টেট অ্যাডমিনিসট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (পশ্চিমবঙ্গ)
৬. চেয়ারম্যান ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটিস কমিশন
৭. চেয়ারম্যান ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন অফ ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস
৮. চেয়ারম্যান ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট পাবলিক সার্ভিস কমিশন
এই তালিকায় যারা রয়েছেন সেই সব আধিকারিক ছাড়া আর কেউ নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছে লালবাজার।