নয়াদিল্লি: ২০১৪ থেকে ২০২২। মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর ৭ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ‘অচ্ছে দিন’, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এর স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন বিজেপি। আদৌ কি দেশ এগিয়েছে? সবার বিকাশ কি হয়েছে? দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন কি প্রতিটি ভারতীয়র কপালে জোটে? স্বাস্থ্য পরিষেবা কী বিশ্বমানের হয়েছে? এসব প্রশ্ন সিংহভাগ ভারতীয়র মনেই রয়েছে। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল ‘দ্য সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’। সিআরএস-এর প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০২০-তে মোট মৃতের ৪৫ শতাংশের চিকিৎসাই জোটেনি। অর্থাৎ, কার্যত বিনা চিকিৎসা প্রাণ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
কোভিডকালে দেশের হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলির প্রায় ৮০ শতাংশ বেড করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। বিনা চিকিৎসায় বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কি কোনও দায় নেই? কেন্দ্রের কাছে তো ইঙ্গিত ছিল, কোভিডকালে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। তা সত্ত্বেও কেন আগাম প্রস্তুতি নেয়নি মোদি সরকার। চীন সহ বেশ কয়েকটি দেশে কোভিড অনেকটা আগেই হানা দিয়েছিল। সেই সমস্ত দেশের পরিস্থিতি দেখেও কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। সেই কারণেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুতে রেকর্ড গড়েছে মোদির ভারত।
একটু আগের পরিসংখ্যানে দিকে তাকানো যায়। ইউপিএ সরকারের আমলে ২০০ সালে, সমস্ত রেকর্ডকৃত মৃত্যুর মাত্র ১০ শতাংশ চিকিৎসার অভাবে ঘটেছে। চিকিৎসা সুবিধার অভাবে মৃত্যুর সখ্যা গত এক দশক ধরে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক মৃত্যুর অনুপাত কমছে। প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার অধীনে মৃত্যু ২০১৯ সালে ছিল ৩১.১ শতাংশ। ২০২০ সালে তা ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার ‘দ্য সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে মোট ৮১,১৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর ৪৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩৫ লক্ষের প্রাণ হারিয়েছে কার্যত বিনা চিকিৎসায়!