রায়পুর: দেশের মাওবাদী (Maoists) অধ্যুষিত রাজ্যগুলির মধ্যে ছত্তীসগঢ় অন্যতম। মাঝে মধ্যেই মাওবাদী-নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এই রাজ্যে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর (Security Force) গুলিতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটনা খুব একটা ঘটেনি। বুধবার ছত্তীসগঢ়ের স্টেট ক্যাবিনেটে জমা পড়া একটি রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে বিজাপুর জেলার এডেসমাটায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন নাবালক সহ যে আটজনের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁরা মাওবাদী নন, নিরীহ মানুষ এবং সংঘর্ষের সময় সকলেই নিরস্ত্র ছিলেন। বলাই বাহুল্য, এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
সাধারণ মানু্ষকে সুরক্ষা দেওয়া ছাড়াও তাঁদের জীবনরক্ষা করাই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তব্য। সেখানে বাহিনীর গুলিতে নিরীহ মানুষদের মৃত্যু হওয়ায় বিষয়টি নানা প্রশ্নর জন্ম দিচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি কে আগরওয়াল গুলি চালানোর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পুরো ঘটনাটিকে ‘মিসটেক’ বলে উল্লেখ বিচারপতি আগরওয়াল লিখেছেন, নিরীহ এবং নিরস্ত্র আদিবাসীদের উপর ৪৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। সিআরপিএফের কোবরা ইউনিটের এক কনস্টেবল একাই ১৮ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে সিবিআইও এই ঘটনার পৃথক তদন্ত করেছিল।
আরও পড়ুন: বড় সাফল্য পুলিশের, গুলির লড়াইয়ে খতম ৫ মাওবাদী
২০১৩ সালের মে মাসের ১৭-১৮ তারিখ এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ মাওবাদীদের উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করলেও কোবরা ইউনিটের জওয়ানরা তা মানতে চায়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদিবাসী উৎসব বীজ পান্ডুম পালন করার জন্য ২৫-৩০ জন জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্র ছিল না, বুদ্ধিমত্তারও অভাব ছিল। সে কারণেই আত্মরক্ষায় এবং ‘আতঙ্কে’ তারা গুলি চালায়।