মাওবাদী দমনে বড়সড় সাফল্য পেল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনী গ্রেহাউন্ড ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল অন্তত ৫ মাওবাদীর। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মাম্পা পুলিশ থানার কোয়ুর জঙ্গলে এদিন অভিযান চালায় বাহিনী। বাহিনীর গুলিতে ৫ মাওবাদী নিহত হয়। এলাকায় আরও মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন: কবে চেতনা হবে রাষ্ট্রের?
এদিকে ওড়িশার মনকলগিরি জেলায় মৈথিলি থানার কুলবেড়া জঙ্গলে মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মাওবাদীকে খতম করা সম্ভব হয়নি।
ওড়িশা পুলিশ সূত্রে খবর, মাওবাদীদের আত্মগোপনের খবর পেয়ে এদিন আচমকা অভিযান চালায় ওড়িশা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায় মাওবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীও পালটা জবাব দেয়।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে পুলিশি জেরার মুখে মিঠুন
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দু’পক্ষের মধ্যে এখনও সংঘর্ষ চলছে। ওড়িশা পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ (এসওজি) ও ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ফোর্স (ডিভিএফ)-কে নিয়ে গঠিত বিশেষ বাহিনী আজকের অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে সমতলে যেমন মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছি, তেমনই পাহাড়ে আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে জঙ্গিদের। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় বাড়ছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে শ্রীনগরের নওগামের ওয়াগুরা এলাকায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায় জঙ্গিরা। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলির লড়াই শুরু হয়।
সেই লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর জোন পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গির নাম উজায়ের আশরাফ দার। সে সোপিয়ানের বাসিন্দা ছিল। তার কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ২টি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে।