নয়াদিল্লি: মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল চন্দ্রযান ৩। চাঁদের কুমেরুতে মাটির উত্তাপ সংক্রান্ত তথ্য পাঠাল চন্দ্রযান ৩। রবিবার ইসরো বিক্রম ল্যান্ডারে থাকা চ্যাসটি যন্ত্রের সাহায্যে এই তথ্য সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। গত ২৩ অগাস্ট সফলভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার চারদিন পর মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে দিল চন্দ্রযান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটির উত্তাপ পরীক্ষা করেছে বিশেষ ওই যন্ত্র। শুধু তাই নয়, ১০ সেমি গভীর পর্যন্ত চাঁদের মাটির উত্তাপের হ্রাসবৃদ্ধির তথ্য পাঠিয়েছে।
পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে চাঁদের গভীরতর মাটিতে উত্তাপ ক্রমশ কমছে। ইসরো হাতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি রেখচিত্রও প্রকাশ করেছে। টুইটে ইসরো লিখেছে, চন্দ্রস সারফেস থার্মোফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট বা চ্যাটসি চাঁদের উপরিভাগের মাটির উত্তাপ নির্ণয়ণ করতে পেরেছে। এতে করে চাঁদের মাটি ও ভিতরের অংশের তাপজনিত গবেষণায় সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: কাল হিন্দুদের শোভাযাত্রা, নুহতে যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি পুলিশ-প্রশাসনের
১০টি পৃথক উত্তাপ মাপক সেন্সরের মাধ্যমে এই তথ্য সামনে এসেছে বলে জানিয়েছে ইসরো। উল্লেখ্য, এই বিশেষ যন্ত্রটি ও উদ্ভাবনী কৌশলটি তৈরি করেছে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের স্পেস ফিজিক্স ল্যাবরেটরি এবং তাদের সহযোগিতা করেছে আমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি।
প্রসঙ্গত, শনিবার দেশে সকালে দেশে ফিরেই চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণস্থলের নাম শিবশক্তি ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন সকালে ইসরো পৌঁছে এই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ চাঁদের যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল, সে জায়গারও নামকরণ করলেন তিনি। নাম দিলেন তেরঙ্গা। একইসঙ্গে চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের জন্য ২৩ অগাস্ট দিনটিকে জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসাবেও ঘোষণা করেন মোদি। এদিন তিনি বলেন, ইসরোর বিজ্ঞানীদের ধৈর্য, পরিশ্রম দেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে, তা সাধারণ নয়।
চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সাফল্য নিয়ে মোদি বলেন, ইসরো আমাদের দেশকে গর্বিত করেছে। ভারতকে চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে। আমরা চাঁদের যেখানে পৌঁছেছি, সেখানে আগে কেউ পৌঁছায়নি। সারা বিশ্ব ভারতীয় প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের প্রশংসা করছে। চন্দ্রযান-৩ ভারতের না, মানবতার সাফল্য। এই অভিযান দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন রাস্তা খুলে দেবে। আমি ইসরোর সব বিজ্ঞানী, কৌশলী এবং চন্দ্রযান-৩-এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।