নয়াদিল্লি: দেশের প্রাক্তন রাজধানী কলকাতায় ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। একই কর্মসূচি কংগ্রেস পালন করলেও শিরোনামে থাকেন মমতা। আর ওই দিনেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি ধর্ণায় বসল দেশের বর্তমান রাজধানীতে।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে নকল জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা, গ্রেফতার দুই বিজেপি কর্মী
বুধবার দিল্লির রাজঘাটে সাংসদদের নিয়ে ধর্ণায় বসেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলার মাটিতে হিংসার শিকার হতে হচ্ছে দলীয় কর্মীদের। তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে বসেছেন দিলীপবাবুরা। সেই ধর্ণা মঞ্চ থেকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- অন্য রাজ্যের হলেও কাশ্মীরি মহিলার স্বামী পাবেন ডোমিসাইল সার্টিফিকেট
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “গত পাচ-সাত বছরে আমাদের দলের প্রায় ১৭৫ জন কর্মী খুন হয়েছেন। অনেক মহিলা স্বামী-সন্তান হারিয়েছেন। অনেকে অনাথ হয়ে গিয়েছেন। বহু মানুষ এখনও ঘর ছাড়া। এর প্রতিবাদেই আমরা ধর্ণায় বসেছি। তিন বছর আগেও আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই রাজঘাটেই ধর্ণা দিয়েছিলাম।”
আরও পড়ুন- নেই অক্সিজেনের সঙ্কটে মৃত্যুর তথ্য, কেন্দ্র দুষল রাজ্যকে
বিজেপি কর্মীদের যে হত্যা করার অভিযগ উঠেছে তা কোনও বিশেষ একটি দিনে নয়। তথাপি ধর্ণার জন্য ২১ জুলাই কেন বেছে নিল বিজেপি? এই দিন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ দিবস পালন করে থাকেন। আর এই দিনেই রাজ্য জুড়ে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- ১০০শতাংশ নম্বর নিয়ে কর্ণাটকের বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম ২২৩৯জন
এই বিষয়ে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “২১ জুলাই যারা শহিদ হয়েছিলেন তাঁরা সবাই কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন। কংগ্রেসের শহিদ দিবস চুরি করে নিয়েছে তৃণমূল। ওটা তৃণমূলের নয়।” অন্য এক বিজেপি নেতা বলেছেন, “২১ জুলাই সিপিএম পরিচালিত পুলিশের গুলিতে কংগ্রেসের কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর এখন তৃণমূল শহিদ দিবস পালন করে সেই মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে।”
আরও পড়ুন- সারা রাত প্রেমিকার সঙ্গে কাটিয়ে ভোরে খুন যুবক
গত মে মাসের দুই তারিখে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। যা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদালতেও গিয়েছে পদ্ম শিবির। আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিনিধিদল এসেছিল বাংলায়। তাদের রিপোর্টেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল শাসক শিবিরকে।