লখনউ: এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল। প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে গিয়েছিল মেয়েটিকে। সেখান থেকেই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। আর সেই কারণেই প্রাণ দিতে হল ২৭ বছরের যুবককে। প্রেমিকার পরিজনদের হাতে প্রহৃত হয়ে প্রাণ খোয়াতে হল ওই যুবককে।
আরও পড়ুন- নেই অক্সিজেনের সঙ্কটে মৃত্যুর তথ্য, কেন্দ্র দুষল রাজ্যকে
ঘটনাটি যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের। ওই রাজ্যের রামঘাটলাল জেলার গাইঘাট গ্রামের এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাঁচ জনের নামে লিখিত অভিযগ দায়ের করা হয়েছে মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন- ১০০শতাংশ নম্বর নিয়ে কর্ণাটকের বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম ২২৩৯জন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে মৃত যুবকের নাম লৌহার নিশাদ। জিতপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। গাইঘাট এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে সেখানের এক মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। উত্তরাখণ্ডে গিয়ে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতো নিশাদ। এমন পাত্রের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি নিশাদের প্রেমিকার পরিবার।
আরও পড়ুন- প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা যোগীর রাজ্যে
এই থেকেই শুরু হয় বিবাদ। যদিও সম্পর্কে চিড় ধরেনি। পরিজনদের নির্দেশ উপেক্ষা করে নিশাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে মেয়েটি। চলতি সপ্তাহের সোমবার রাতের দিকে লুকিয়ে প্রমিক নিশাদের সঙ্গে ঘুরতে যান তিনি। ভোর চারটে নাগাদ বাইকে করে প্রমিকাকে তাঁর বাড়িতে ছাড়তে যান নিশাদ। যা দেখে ফেলে প্রেমিকার বাড়ির লোকেরা। তখনই নিশাদকে ধরে শুরু হয় প্রহার।
আরও পড়ুন- শহিদ দিবসের প্রাক্কালে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি
বেদম প্রহারের কারণে অসুস্থ হয়ে যান নিশাদ। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, নিশাদের পরিবারের লোকেরা প্রেমের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। মৃতের মা এবং বোনের বক্তব্য, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই নিশাদকে হত্যা করা হয়েছে।