নয়াদিল্লি: সিডিএস বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃ্ত্যুর জল্পনা চলছে৷ যদিও ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত কিছুই জানায়নি৷ তবে, এর আগে বহুবার গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন রাওয়াত৷তিনি ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনারও অংশ ছিলেন৷ যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Chopper Crashed) নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, রাওয়াত নয়াদিল্লির সাউথ ব্লক থেকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। রাওয়াত (Chief of Defence Staff) উত্তর-পূর্বে ভারতের জঙ্গিবাদ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন৷
তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ২০১৫ সালে মায়ানমারে আন্তঃসীমান্ত অপারেশন৷ তাঁর নেতৃত্বেইভারতীয় সেনাবাহিনী সফলভাবে NSCN-K জঙ্গিদের আক্রমণের জবাব দিয়েছিল। পাকিস্তান ছাড়াও, রাওয়াত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ডোকলাম অচলাবস্থার পরে চীনের সঙ্গে সীমান্তে সামরিক বিষয়গুলি পরিচালনা করেছেন। তিনি নিয়মিত সীমান্ত বৈঠক, পারস্পরিক আলোচনা এবং যৌথ মহড়ার মাধ্যমে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে আরও ভাল সম্পর্কের সুবিধা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-প্রশাসনিক বৈঠক বাতিল মমতার, জরুরি ক্যাবিনেট বৈঠকে মোদি
চার দশকের চাকরি জীবনে রাওয়াত একজন ব্রিগেড কমান্ডার, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ (জিওসি-সি) সাউদার্ন কমান্ড, জেনারেল স্টাফ অফিসার গ্রেড ২ মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেট, কর্নেল মিলিটারি সেক্রেটারি এবং ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামরিক সচিবের শাখা এবং জুনিয়র কমান্ড উইংয়ের সিনিয়র প্রশিক্ষকও ছিলেন।
প্রাক্তন ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত প্রথম তিনসেনা বাহিনীর প্রধান হন৷ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি এই পদে নিযুক্ত হন৷ সিডিএস হিসাবে বিপিন রাওয়াতকে নিযুক্ত করতে ভারত সরকার চাকরির অবসরের বয়স ৬২ বছর থেকে সংশোধন করে ৬৫ বছর করে৷ ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীকে একত্রিত করে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে সিডিএস বিপিন রাওয়াতকে উপদেষ্টাও করা হয়৷ তিনি স্থায়ী চিফ অফ স্টাফ কমিটির (সিওএসসি) পদেও ছিলেন। উত্তর ও পূর্ব কমান্ড সহ ভারতের সবচেয়ে কঠিন ভূখণ্ডে কাজ করেছেন তিনি।