নয়ডা: স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে৷ এই সন্দেহে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করল এক বাংলাদেশি (Bangladeshi) যুবক৷ খুনের পর একাধিক রাজ্যে পালিয়ে বেরাচ্ছিল অভিযুক্ত৷ অবশেষে রবিবার নয়ডায় (Noida) ধরে পড়ে সে৷ তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত যুবক অনুপ্রবেশকারী৷ তার আরও দুই স্ত্রী রয়েছে৷
আরও পড়ুন: ধর্মকে কুসংস্কারের উর্ধ্বে উঠতে হবে, বলেছিলেন বিবেকানন্দ: প্রধান বিচারপতি
ধৃতের কাছ থেকে ভারতীয় পাসপোর্ট (Indian Passport) এবং দুটি আধার কার্ড (Aadhar Card) উদ্ধার করেছে নয়ডা পুলিশ৷ বাবুল মিঁয়া নামে ওই যুবক আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা৷ তার আরও দুই স্ত্রী রয়েছে৷ প্রথম স্ত্রী থাকে বাংলাদেশে৷ দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে৷ তা সত্ত্বেও ফাতিমা নামে আরও এক মহিলাকে বিয়ে করে সে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ৪ অগস্ট কোচবিহারে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নয়ডায় ফেরে বাবুল৷ ওই দিনই ঘরে ফাতিমাকে সাজিদ নামে এক যুবকের সঙ্গে ধরে ফেলে সে৷ এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া শুরু হয় তার৷
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার পরই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে৷ খুনের পর পালিয়ে যায়৷ প্রথমে সে রাজস্থান যায়৷ তার পর সেখান থেকে ট্রেন ধরে পশ্চিমবঙ্গে পালায়৷ সে বাংলাদেশ চলে যেতে চেয়েছিল৷ কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় নয়ডায় ফিরে আসে৷ ১০ সেপ্টেম্বর নয়ডায় ফিরে আসার পর এখানে লুকিয়ে ছিল৷ তার পর সূত্র মারফত খবর পেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর তাকে নয়ডার সেক্টর ৫২ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: বাইবেল পড়তে দিল্লি যাওয়ার পথে অসমে গ্রেফতার ২৬ মায়ানমারের নাগরিক
তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, এক দশক আগে বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল সে৷ তার পর কিছুদিন কোচবিহারে থাকে৷ সেখানে দ্বিতীয় করে৷ তার পর কাজের সন্ধানে নয়ডায় চলে আসে৷ এখানে শ্রমিকের কাজ করত বাবুল৷ পরে ফাতিমাকে বিয়ে করে৷ এই ক’বছরে জাল নথিও বানিয়ে ফেলেছিল সে৷ পুলিশ তার কাছ থেকে ভারতীয় পাসপোর্ট এবং দুটো আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে৷ একটি আধার কার্ডে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাড়ির ঠিকানা৷ দ্বিতীয়টিতে নয়ডার ঠিকানা৷