নয়াদিল্লি: নাগাল্যান্ড গুলিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে সংসদে বিবৃতি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেনা বাহিনীর তরফে এই ঘটনার (Nagaland Civilian Killings) পৃথক তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। জঙ্গি দমন অভিযান চালানোর সময় এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তাও দেখতে বলা হয়েছে জানান শাহ। অমিত জানান, তদন্তের জন্য গঠিত সিট (Nagaland Civilian Killings) একমাসের রিপোর্ট জমা দেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নাগাল্যান্ড গুলিকাণ্ডের তদন্তে জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। একমাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবে সিট। সেনা বাহিনীর তরফেও এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সেনার নিজস্ব আইন অনুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক অতিরিক্ত সচিব আজ, সোমবার কোহিমায় গিয়ে নাগাল্যান্ডের মুখ্যসচিব, সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বলে জানান শাহ।
শাহ বলেন, ‘ওটিঙয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গতিবিধির খবর পেয়েছিল সেনা। সেই মতো ওই এলাকায় যায় ২১ কমান্ডো। একটি গাড়িকে দাঁড়ানোর কথা বলা হলেও, সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে তা চলে যায়। এর পর সন্দেহের বশে গাড়ির উপর গুলি চালায় সেনা। গাড়িতে থাকা ৮ জনের মধ্যে ৬ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বোঝা যায়, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই গুলি চলেছে। আহত দু’জনকে জওয়ানরাই হাসপাতালে নিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: Nagaland : বুঝতে ভুল, নাগাল্যান্ডে জঙ্গি দমন অভিযানে প্রাণ গেল ১৩ গ্রামবাসীর, মৃত জওয়ানও
বিবৃতিতে অমিত শাহ বলেন, ‘৬ গ্রামবাসীর মৃত্যু খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সেনা বাহিনীকে ঘিরে ধরেন। দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ছাড়াও জওয়ানদের আক্রমণ করা হয়। এর ফলে এক জওয়ান প্রাণ হারান। অনেকেই আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষা ও ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করার জন্যই গুলি চালায় বাহিনী। এর ফলেই ৭ নাগরিক প্রাণ হারান। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
রবিবার অসম রাইফেলসের স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ চালাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। এই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, ‘ঘটনার পর দিন ৫ ডিসেম্বর বিকেলে ২৫০ জন মানুষের একটি দল মন শহরে অসম রাইফেলসের ক্যাম্পের হামলা চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সেই সময় গুলি চালায় অসম রাইফেলস।’ এর জেরে আরও এক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে সংসদ বিবৃতিতে জানান অমিত শাহ।